AstraZeneca | Covid Vaccine: টিকায় বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশ্বজুড়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা
AstraZeneca | Covid Vaccine: অ্যাস্টাজেনেকার টিকা নেওয়ার ফলে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস নামের বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শরীরে রক্ত তঞ্চন বা রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে
রাজীব চক্রবর্তী: করোনার টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মারাত্মক কিছু পার্শ্বপতিক্রিয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতেই ঘুম ছুটেছে গোটা বিশ্বের। ভারতের কোটি কোটি মানুষ অ্যাস্টাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন। তাঁরা এখন আতঙ্কে। এরকম এক পরিস্থিতিতে গোট বিশ্ব থেকে করোনা টিকা তুলে নিচ্ছে কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্টাজেনেকা। বাণিজ্যিক কারণেই ওই টিকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ওই ব্রিটিশ কোম্পানির তরফে।
আরও পড়ুন-চলবে টানা ৪ দিন, জেলায় জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর
করোনা টিকায় যে কিছু বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। প্রমাণ হয়েছে অ্যাস্টাজেনেকার টিকা নেওয়ার ফলে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস নামের বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শরীরে রক্ত তঞ্চন বা রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে। এই ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে এর সংখ্যা খুবই কম। ভারতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওই ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। ইতিমধ্যেই সেরাম ইনস্টস্টিটিউট ও অ্যাস্ট্রাজেনকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট মামলা হয়েছে।
কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে বলা হয় রোগীদের সুরক্ষা-ই তাদের অগ্রাধিকার। কোভিশিল্ডের জন্য কারও কোনওরকম কোনও শারীরিক সমস্যা হলে তার জন্য তারা দুঃখিত। যাঁরা তাঁদের পরিবারকে হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা। তবে কোভিশিল্ডের ব্যবহার নিরাপদ। টিকা তৈরিরসময়ে সব গাইডলাইনকঠোরভাবে মানা হয়ে থাকে।
এদিকে, কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্র সরকারাও। কারণ দেশের বহু মানুষ ওই টিকা নিয়েছে। এনিয়ে আইসিএমআর প্রধান জানিয়েছেন, ১০ লাখের মধ্যে মাত্র ৭ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম, সংক্ষেপে TTS। ভ্যাকসিন নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই TTS চিহ্নিত হয়। তবে সেটা 'ভীষণই বিরল'। এই নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার বা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও কারণ নেই। লাখো মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন। সেইসঙ্গে রীতিমতো দৌড়-ঝাঁপ করে কাজকর্ম করে চলেছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)