নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ কোটি ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৩৭ জনের। এই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন একদল বিজ্ঞানী। গবেষণা করে তাঁরা দেখেছেন, পৃথিবীতে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। একই সঙ্গে কমছে করোনায় মৃত্যুর হার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক প্রায় ৪ হাজার করোনা আক্রান্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, সাস্প্রতিককালে যত জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই উপসর্গহীন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মনিকা গান্ধী জানান, বস্টন হোমলেস শেল্টারে ১৪৭ জন আক্রান্তের হদিস মিলেছে যাঁদের মধ্যে ৮৮ শতাংশই উপসর্গহীন। স্প্রিংডালের টাইসন ফুডস পোল্ট্রি প্ল্যান্টের ৪৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের ৯৫ শতাংশের মধ্যেই কোনও উপসর্গ নেই। আরকানসাস, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহিয়ো, ভার্জিনিয়ার জেলে ৩ হাজার ২৭৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এঁদের ক্ষেত্রেও ৯৬ শতাংশই উপসর্গহীন। তিনি বলেন, “উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এটা একদিকে সমাজের পক্ষে ভাল!”


মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জানান, বিশ্বের সব দেশে এই ভাইরাস এক রকম প্রভাব ফেলেনি। কোনও কোনও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। শিশুদের ওপরও এই ভাইরাস খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। এখনও পর্যন্ত যত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তার অধিকাংশই উপসর্গহীন। কেন করোনা আক্রান্তদের শরীরে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না, কী ভাবে এঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে, এই সব নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে গবেষণা চলছে।


আরও পড়ুন: স্কুল খুলতেই বিপত্তি! আমেরিকায় দু’সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ শিশু!


গত মাসে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, প্রায় ৪০ শতাংশ করোনা আক্রান্তই উপসর্গহীন। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী, তা ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। গবেষকদের একাংশের প্রাথমিক অনুমান, বিশ্বের বিরাট সংখ্যক মানুষের শরীরে ইতিমধ্যেই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (মেমোরি টি-সেল) তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফৌসি জানান, এ সব তথ্য এখনও ‘প্রিম্যাচিয়োর’ বা অনুমান ভিত্তিক। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।