নিজস্ব প্রতিবেদন: বেকিং সোডা প্রায় সকলেরই রান্নাঘরে রয়েছে। না থাকলেও কাছেপিঠের দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে বেকিং সোডা একেবারে অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। ত্বকের সমস্যা, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা এমনকি ক্যান্সারের চিকিত্সার ক্ষেত্রেও বেকিং সোডা ব্যবহার করে সাফল্য মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন, ইতালির এক চিকিৎসক-গবেষক তুলিও সিমোনসিনির দাবি, বেকিং সোডার প্রয়োগে ক্যান্সারের চিকিত্সা ও নিরাময় সম্ভব। মিলেছে সাফল্যও। তিনি তাঁর ‘ক্যান্সার ইজ অ্যা ফাঙ্গাস: অ্যা রিভল্যুশন ইন টিউমার থেরাপি’ (Cancer is a Fungus: A Revolution in Tumor Therapy) বইয়েও এ কথা উল্লেখ করেছেন। সিমোনসিনির দাবি, ক্যান্সার এক ধরনের ফুসকুড়ি যা বেকিং সোডার সাহায্যে সহজেই নিরাময় করা সম্ভব।


শুধু ক্যান্সারের নিরাময়ের ক্ষেত্রেই নয়, শরীর থেকে দুষিত বর্জ্য বাইরে বের করে শরীরকে ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত দু’বার এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস জলেতে মিশিয়ে খেতে পারলে, (বিশেষ করে সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে) সারাদিন শরীর থাকে ঝরঝরে।


পেশীতে টান পরা, ক্লান্তি ভাব বা ত্বকের মরা কোষ থেকে রেহাই পেতে স্নানের সময় জলেতে এক কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ওই জলে স্নান করলে ত্বক হবে নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল। তাছাড়া, ভাইরাসের কারণে ত্বকের প্রদাহ বা জ্বালা অনুভূত হলে সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে হালকা মালিশ করে নিলে উপকার মিলবে। যতদিন ভাল না হয়, ততদিন ঠিক এ ভাবে বেকিং সোডা কাজে লাগাতে হবে।


আরও পড়ুন: রঙিন মিষ্টির সঙ্গে শরীরে ঢুকছে বিষ! বাড়ছে একাধিক রোগের ঝুঁকি!


বেকিং সোডা আর ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড একসঙ্গে মিশিয়ে নিলে তা একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে। এই দু’টি উপাদান একসঙ্গে মিশে শরীরের কোষ, কলা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) আর অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। যেমন, বমি বমি ভাবের চিকিৎসায়, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা, ক্যান্সার ও ফ্লু-এর চিকিৎসায় বেকিং সোডা আর ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।