নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে ত্রাশ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস কেড়েছে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউন চলছে বিশ্বের শতাধিক দেশে। তবে শুধুমাত্র সতর্কতা বা লকডাউনে রোখা যাবে না করোনা সংক্রমণ। রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে রোখা অসম্ভব!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা মোকাবিলায় প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে ৪টির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এগুলির বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন আর চিকিৎসায় প্রয়োগ শুরু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই ৪টির করোনা প্রতিষেধকের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধক ChAdOx1 nCoV-19।


করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন করোনভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য সম্ভাব্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে বেছে নিয়েছিল৷ তার মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি-এর যৌথভাবে পরীক্ষিত প্রতিষেধকটির ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর অনুমোদন দিল ব্রাজিল।


ব্রাজিলে এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সে দেশে ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি ChAdOx1 nCoV-19-এর ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের সরকার।


ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সাফল্যের প্রায় দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ডের এই ChAdOx1 nCoV-19 প্রতিষেধকটি। গত ২৩ এপ্রিল মানুষের উপর তাঁদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ChAdOx1 nCoV-19-এর কার্যকারিতা। এ বার করোনা হয়নি, এমন ১,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক বেছে নিয়ে তাঁদের উপর অক্সফোর্ডের এই ChAdOx1 nCoV-19 প্রতিষেধকটির ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ হবে। এমনটাই জানিয়েছে ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলো।


আরও পড়ুন: চিনা ও ইউরোপীয় প্রজাতির করোনাভাইরাসই সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে ভারতে!


২৩ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবকের উপর প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পরবর্তী ১৫ দিন তাঁদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আশা জাগিয়ে প্রতিষেধকের প্রভাবে কোনও রকম ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি বলেই জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এ বার দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় মানুষের শরীরে প্রতিষেধকের ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দিকটি ভাল করে দেখে নিতে চাইছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।