জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নারীদিবসের ঠিক পরেই মহিলাদের শরীরে তৈরি হওয়া ক্যান্সার সচেতনতায় এগিয়ে এলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। ক্যানসার এক মারণ রোগ। এখনও এই রোগের নামে আতঙ্ক মানুষের পিছু ছাড়েনি। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও অনেক ক্ষেত্রেই জীবন বাঁচিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সেখানে দরিদ্র অসহায় মানুষদের জন্য এই রোগের চিকিৎসা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে অনেক সময়ে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট বা ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি সেখানে অনেকাংশেই বেশী। তবুও মানুষ শেষ চেষ্টা করে দেখতে চায় সব সময়ই। 
আরও পড়ুন: Pain Management: অসহ্য ব্যথা কমানোর চাবিকাঠি রিজেনারেশন থেরাপি! জানুন, ভালো থাকুন...
কিন্তু শেষে গিয়ে চেষ্টার বদলে যদি শুরু থেকেই একটু চেষ্টা করা যায়? সেই কারণেই লিভফ্লাই হেলথকেয়ার ও চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি হাওড়া চেঙ্গাইলে লাডলো জুটমিলে সেখানকার মহিলা শ্রমিক ও মহিলা কর্মচারীদের জন্য আয়োজিত হয়ে গেল বিনামূল্যে ক্যানসার স্ক্রিনিং টেস্ট ও ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক অনুষ্ঠান। এই কাজে সামিল হয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। এছাড়া ছিলেন লাডলো জুটমিলের কর্মরত এম ডি ফিজিশিয়ন ডঃ এস জাকারিয়া, চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হসপিটালের খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ কংকনা উমার‍্যে ও ডঃ চন্দ্রানী মল্লিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


লিভফ্লাইয়ের কর্ণধার সৌমাল্য চক্রবর্তী জানান মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশী হয় কিন্তু তারা সচেতন হন না, তাই তাদের এই উদ্যোগ। যেহেতু তারা পরিষেবা ব্যবসার সাথে জড়িত তাই মানুষের কাছে এই ধরণের পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। আমি দিনে তারা আরও এই ধরণের সচেতনতামূলক কাজ চালিয়ে যেতে চায়। লিভফ্লাইয়ের অপড় কর্ণধার প্রিয়াঞ্জলী ঘোষ জানান উওমেন্স ডের পরে এই ধরণের অনুষ্ঠান প্রাসঙ্গিক। তবে এখানে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ও সারভাইক্যাল ক্যান্সারের পাশাপাশি ওরাল ক্যান্সারেরও স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা আছে। আর কারো যদি সেরকম বিপদসীমায় আছেন মনে হয় তবে ম্যামোগ্রাফির ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়াও জেনারেল হেলথকেয়ারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Dry Ice Effect: ড্রাই আইস খাচ্ছেন? ডেকে আনছেন ভয়ংকর বিপদ...
প্রিয়াংকা সরকারও একই ভাবে জানান নারী দিবসের পরে মহিলাদের ক্যান্সারের এইরকম সচেতনতা প্রকল্পে থাকতে পেরে তার খুবী ভালো লেগেছে। ক্যান্সার নিয়ে মনে অনেক ভয় থাকে কিন্তু মহিলারা বিশেষত বোঝেননা এই টেস্ট করানো কতটা প্রয়োজনীয়। পরে যখন ধরা পড়ে তখন সেটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে, খরচা করা তখন প্রায় সাধ্যের অতীত হয়ে যায়। আর এই ধরণের টেস্ট করা থাকলে একটু আগে যদি ধরা পড়ে তাহলে প্রথম ধাপেই চিকিৎসা ও সুস্থতা দুইই সম্ভব। তাও কম খরচাতে। সেখানে লিভফ্লাইয়ের এইরকম উদ্যোগকে মাথায় রেখে আরও বহু সংস্থার এগিয়ে আসা উচিৎ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)