আরেক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিঃশব্দে ঢুকেছে ভারতে, করোনার মতোই ভয়ানক
করোনার আবহে নতুন করে কোনও সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে মহাবিপদ হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- একা করোনায় রক্ষে নেই। আবার ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) দোসর। আরও এক মারণ ব্যাকটেরিয়া নিঃশব্দে ঢুকে পড়েছে ভারতে। ব্যাকটেরিয়াজনিত এই সংক্রামক রোগ নিয়ে চিকিত্সকমহল উদ্বিগ্ন। কারণ পরিস্থিতির ভেদে করোনার থেকেও প্রাণঘাতী হতে পারে ব্রুসেলোসিস। করোনাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। একা ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। কীভাবে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো যায় তা নিয়ে চিকিত্সকমহল ব্যস্ত। আর এই সময় অন্য আরও অনেক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছ। আর তাই বাড়ছে উদ্বেগ। করোনার আবহে নতুন করে কোনও সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে মহাবিপদ হতে পারে।
করোনার মতোই মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে ব্রুসেলোসিস। সময় মতো সতর্ক না হলে এই ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগও কোভিডের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর সব থেকে চিন্তার বিষয়, ইতিমধ্যে ব্রুসেলোসিস ভারতে ঢুকে পড়েছে। এদেশে কিছু পশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। পরীক্ষার পর পশুদের শরীরে এই মারণ ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। ফলে গোড়াতেই সতর্ক হতে হবে। না হলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তা কোভিড আমাদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। করোনার মতো ব্রুসেলোসিস ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে চিনে। উত্তরপশ্চিম চিনে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়েছে দ্রুত হারে। কয়েক হাজার মানুষ সেখানে ব্রুসেলোসিস ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত। জানা যাচ্ছে, ৩,২৪৫ জনে শরীরে এখনও পর্যন্ত এই ব্রুসেলোসিস ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর হার দেখে চিনের চিকিত্সক মহল উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন- বড় খবর! ভারতে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে রুশ করোনা টিকার চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল!
সাধারণত পশুদের শরীর থেকেই মানুষের মধ্যে ছড়ায় ব্রুসেলোসিস। পশুর ফ্লুইড থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। আনপাস্তুরাইজড ডেয়ারি পণ্য, দূষিত বায়ু এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ থেকে মানুষে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর সম্ভাবনা কম। জুন থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে চিনের ঝংমু লানজুর বায়োলজিক্যাল ওষুধ কারখানা থেকেই ব্রুসেলোসিস ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জ্বর, গাঁটে ব্যথা, দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, মাথাব্যথা, ঘাম। এগুলিই হল এইই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ। অর্থাত্, করোনার সঙ্গে উপসর্গের ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। তবে কিছু মানুষের মধ্যে স্পনডিলাইটিস, আর্থরাইটিস, অণ্ডকোষের ফোলাভাবের মতো লক্ষণও দেখা দিয়েছে। ভ্যাকসিন না থাকলেও এই ব্যাকটেরিয়া রোধে অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। তবে আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাটাই ভাল বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।