নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর আশঙ্কা, করোনাভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’-এ আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থির সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত-সহ একাধিক দেশ! এর মধ্যেই প্রথমিক পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়ার নতুন ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করলেন একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, গাঁজায় থাকা বিশেষ রাসায়নিককে কাজে লাগিয়ে করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়া সম্ভব!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কানাডার লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসেই তাঁরা এ বিষয়ে গবেষণা করে দেখেছেন। তাঁদের দাবি, গাঁজায় থাকা বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে সক্ষম।


গাঁজায় রয়েছে প্রায় ৪৮০ প্রকারের উত্তেজক রাসায়নিক উপাদান। তার মধ্যে একটি হল ক্যানাবিডিওল (Cannabidiol) যেটিকে CBD-ও বলা হয়। এই ক্যানাবিডিওল নামের রাসায়নিক উপাদান কাজে লাগিয়ে উদ্বেগ, অবসাদ, মানসিক চাপ, ব্যথা-বেদনা কমানোর ওষুধে ব্যবহৃত হয়। স্নায়ুর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ক্যানাবিডিওলের প্রয়োগ করা হয়। কানাডার গবেষকদের দাবি, এই রাসায়নিক উপাদানটিকেই কাজে লাগিয়ে তাঁরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছেন।


তবে এই গবেষক দলের অন্যতম সদস্যা ওলগা কোভালচুক (Olga Kovalchuk) সতর্ক করে জানিয়েছেন, সরাসরি গাঁজা সেবনে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। যে কোনও গাঁজা থেকেও করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সম্ভব নয়। যে গাঁজা গাছগুলিতে ক্যানাবিডিওল (Cannabidiol) অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে এবং একই সঙ্গে টিএইচসি’র (Tetrahydrocannabinol) পরিমাণ খুব, শুধুমাত্র সেগুলি থেকেই করোনা রোধী ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।


আরও পড়ুন: ফুসফুসে করোনা সংক্রমণ সরাসরি রুখে দিতে পারে এই ইনহেলার! দাবি গবেষকদের


যদিও ওলগা কোভালচুক ও তাঁর গবেষক দলের এই মতামতকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলেই দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Connecticut) ‘ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মাসি প্র্যাকটিস’-এর প্রধান সি মাইকেল হোয়াইট। তিনি বলেন, মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ক্যানাবিডিওল-এর সরাসরি কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও পর্য়ন্ত কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ বা সমীক্ষাপত্র বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। তবে গাঁজার একাধিক ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অবগত। তাই কানাডার গবেষকদের এই মতামতের উপর ভিত্তি করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত।