নিজস্ব প্রতিবেদন: হঠাৎ টনক নড়েছে। ১৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা রোগ যখন মহামারীর আকার নিয়েছে তখন কারণ খুঁজতে নেমেছে প্রশাসন, এমনটাই মনে করছে স্বাস্থ্যমহলের ওয়াকিবহালরা। পৌঁছে গিয়েছে ডাক্তার ও গবেষক দল। এটি কিডনির রোগ। গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ কিডনির রোগে আক্রান্ত। যাতে মৃত্যু হয়েছে ২০০-র বেশি। সম্প্রতি চিকিৎসা চলছে ১৮০০ জনের। ঘটনাটি গারিয়াবান্দ জেলার সুপবেড়া গ্রামের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে কিডনির রোগে তারা আক্রান্ত হলেন, তা জানতে শুরু হয়েছে মাটি ও জলের পরীক্ষা। কিডনির রোগ সেখানে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। করোনার চেয়েও ভয়াবহ।  শুধু যে ওই গ্রামই কিডনির অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে এমনটা নয়, লাগোয়া বাকি গ্রামের মানুষও কিডনির অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। যা ছড়িয়ে গিয়েছে ওড়িশার সীমান্ত পর্যন্ত। মোটের উপর প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ কিডনির রোগে আক্রান্ত। এই অসুখের কোনও বয়সের ঘেরাটোপে আটকে নেই। ৮ থেকে ৮০ মহিলা, শিশু , পুরুষ নির্বিশেষে আক্রান্ত হচ্ছেন কিডনির অসুখে। 


এই প্রসঙ্গে ছত্তীসগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিডনির রোগ ধরা পড়েছে। ডাক্তার বিশেষজ্ঞের দল ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। এইমস সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে ডাক্তারদের টিম  পৌঁছে সুপবেড়ায়। চিকিৎসা শুরু হয়েছে। 


প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, গ্রামের নদীর জলে ভারী ধাতু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, পারদ ও লেড রয়েছে জলের মধ্যে। যা থেকে কিডনির অসুখে ভুগছে ৮০ শতাংশ। তবে এটাই আসল কারণ কিনা তা জানা যায়নি। চলছে পর্যবেক্ষণ রোগ যাতে গ্রামগুলি থেকে অন্য কোথায় ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিচ্ছে প্রশাসন।