ওয়েব ডেস্ক : এমনিতে পাউডারের পোয়া বারো। ছোট থেকে বড়, সবাই সুযোগ থাকলেই মেখে নেন। নামডাক, বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবে। আদতে এর রং সাদা হলেও, গায়ে কিন্তু কালির ছিঁটে কম নেই। সমীক্ষা বলছে, এই পাউডারের কারণেই শরীরে ঢুকছে বিষাক্ত বহু রাসায়নিক। বাড়ছে ক্যানসারের মতো রোগও।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই ছোট্টবেলা থেকে দেখা, দুধের শিশুর গায়েও চলছে পাউডার মালিশ। সুন্দর গন্ধ। তরতাজা ভাব। বিজ্ঞাপনের কমতি নেই। কিন্তু প্রথমেই জেনে নেওয়া উচিত, ট্যালকম পাউডার জিনিসটি কী? পাউডারের মধ্যে মূল জিনিসটি হল ট্যাল্ক বা অভ্রক, যা একটি কাচের মতো পদার্থবিশেষ। এই ধাতুর মধ্যে খনিজ উপাদান হিসেবে মূলত থাকে ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন এবং অক্সিজেন। শুধু বেবি পাউডারই নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও কসমেটিক প্রোডাক্ট, ফেসিয়াল পাউডার সহ বহু বিউটি প্রোডাক্টে এর ভরপুর ব্যবহার।


বহু সমীক্ষা থেকেই উঠে এসেছে, পাউডারের ব্যবহার বাড়াচ্ছে দুরারোগ্য স্কিন সমস্যা। পাউডার ব্যবহারের ফলে আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো সমস্যারও বাড়বাড়ন্ত । সবচেয়ে উদ্বেগের, পাউডারই বহুক্ষেত্রে কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ক্যানসারের। অনেক মহিলা যৌনাঙ্গে পাউডার ব্যবহার করে থাকেন, যার ফল হচ্ছে ভয়ঙ্কর। এজন্য বাড়ছে ওভারিয়ান ক্যানসার। একদল মহিলার ওপর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা পাউডার প্রায় রোজ ব্যবহার করেন তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ।


ট্যাল্ক মাইনে কাজ করেন এমন শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও। ট্যাল্কের মধ্যে বহুক্ষেত্রেই মিলেছে অ্যাসবেস্টস, যা ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রমাণিত। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, বেবি পাউডারের কৌটোর গায়ে ওয়ার্নিং বলে লিখে দিতে হচ্ছে, এগুলি যেন শিশুদের হাতের নাগালে না রাখা হয়। এবং সেইসঙ্গে আরও বেশকিছু বিপদ-বার্তাও। অতএব, সাবধান হওয়ার সময় বোধহয় চলে এসেছে। স্নানের পর বা বাইরে বেরনোর আগে টুক করে পাউডারের কৌটোটি তুলে মেখে নেওয়ার আগে, দু বার অবশ্যই ভাববেন। নিজের অজান্তে বিপদকে ডেকে আনা হচ্ছে না তো! পড়ুন, আপনার ত্বক, চুল ও দাঁতে যে জাদু করতে পারে সরষের তেল