নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে চিনের উহানে। কিন্তু তার পর মাস খানেকের মধ্যেই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও থমকে যায়। কিন্তু কী ভাবে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনল চিন? এই নিয়ন্ত্রণের পিছনে বেজিংয়ের গোপন কার্যকলাপ ফাঁস হল সে দেশেরই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার কথায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে রোখা প্রায় অসম্ভব! এ কথা আগেই জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাই করোনার প্রতিষেধক বাজারে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিনে জুলাই মাস থেকেই করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে! চিনের ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’-এর ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার’-এর প্রধান ঝেং ঝংউই (Zheng Zhongwei) গত রবিবার চিনের সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি-কে এ কথা জানান। ঝেং ঝংউই জানান, জুলাই মাস থেকেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশের জরুরি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।


এ দিকে বিশ্বের সর্বত্র চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, চিনা সংস্থা CanSino Biologics বা চিনা সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা Sinopharm-র তৈরি করোনা টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তাহলে জুলাই মাস থেকে কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে চিনা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশের জরুরি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের? উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: কবে শেষ হবে করোনা মহামারি পর্ব, কতদিনে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? জানাল WHO


করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে চিন, বার বার এমন অভিযোগে সরব হয়েছে আমেরিকা। তবে বার বারই সেই অভিযোগ অস্বিকার করেছে চিন। চিনের বিরুদ্ধে করোনার তথ্য, প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগে সরব হয়েছেন হংকংয়ের চিকিৎসক, মাইক্রোবায়োলজিস্ট কোক ইয়ুং ইউয়েন (Kwok-Yong Yuen)। তারও আগে হংকংয়ের (Hong Kong) ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডঃ লি মেং ইয়ান (Dr. Li-Meng Yan) চিনা সরকারের বিরুদ্ধে করোনার তথ্য গোপনের গুরুতর অভিযোগে সরব হন। এ বার মাস দুয়েক আগে থেকেই গোপনে করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে ফের বিতর্কে জড়াল চিন।