নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনাভাইরাস নিয়ে অনেকেই বেশি দুশ্চিন্তা করছেন না। ভাইরাস হোক বা এমন মহামারীর পরিস্থিতি, ভয়ও পাচ্ছেন না অনেকেই। তবে এই ঘটনা তাঁদের মনেও হয়তো ভয় ধরাতে পারে। রোগীর মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পরও তাঁর শরীরে জীবন্ত করোনাভাইরাসের খোঁজ পেলেন চিকিত্সকরা। শুধু তাই নয়, সংক্রমিত ব্যক্তির ফুসফুসের ওজন বেড়ে গিয়েছিল আড়াই গুণ। যা দেখে চিকিত্সকরাও অবাক। কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর শরীরের ময়না তদন্ত হয়। তার পর রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে ওঠে ডাক্তারদের। তার মানে রোগীর মৃত্যুর পরও তাঁর শরীরে জ্যান্ত অবস্থায় থাকতে পারে করোনা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কনৌজের এক চাষি খুনের অভিযোগে জেলে ছিলেন। ১০ অক্টোবর তাঁর শরীর খারাপ হয়। যাবত্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সেই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। করোনা টেস্টে পজিটিভ হয় সেই বন্দি। ১৭ অক্টোবর থেকে তাঁর চিকিতসা শুরু হয়। কিন্তু ২২ অক্টোবর সকালে সেই চাষি মার যায়। এর পরই তাঁর মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। তাঁর গলা, নাক ও ফুসফুসে জীবন্ত করোনাভাইরাস রয়েছে বলে জানা যায়। এমনকী সেই ব্যক্তির ফুসফুস আড়াই গুণ ভারি হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যায়। 


আরও পড়ুন-  ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বাজারে করোনার টীকা! ICMR-এর বিজ্ঞানীর কথায় আশার আলো


সেই ব্যক্তির দুটি ফুসফুসের ওজন ছিল প্রায় ২১০০ গ্রাম। ডানদিকের ফুসফুসের ওজন ৪৪৫ ও বঁদিকের ৩৯৫ গ্রাম হওয়া উচিত ছিল। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত চারজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর ময়না তদন্ত হয়েছে। চারজনেরই ফুসফুসের ওজন বেড়ে গিয়েছিল দুই থেকে আড়াই। এই চারজন করোনা আক্রান্ত রোগীর বয়স ছিল আলাদা। ফলে চিকিত্সকরা বুঝতে পেরেছিলেন, যে কোনও বয়সের ব্যক্তির ক্ষেত্রেই করোনা সব থেকে বেশি ফুসফুসে প্রভাব ফেলে।