রাজ্যের কোন কোন হাসপাতালে মিলছে করোনার চিকিত্সা! জেনে নিন সবিস্তারে
কোন জেলার কোন হাসপাতালে মিলছে করোনার চিকিত্সা? জেনে নিন হাসপাতালগুলির যোগাযোগের নম্বরও...
১) করোনা টেস্ট:
পশ্চিমবঙ্গে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে কলকাতার বেলেঘাটা আইডির অন্তর্গত নাইসেড, এসএসকেএম হাসপাতাল। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ। বেসরকারি হাসপাতালে মধ্যে অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস হাসপাতাল।
২) শহরে বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন পরিষেবা:
আইএলএস হাসপাতাল (সল্টলেক):
আইসোলেশন ওয়ার্ড শয্যা- ৫টি, ভেন্টিলেটর যুক্ত ঘর ও শয্যা- ৪টি। যোগাযোগ- ০৩৩ ৪০২০৬৫০০।
আইএলএস হাসপাতাল (দমদম):
আইসোলেশন ওয়ার্ডের শয্যা- ৭টি, ভেন্টিলেটর যুক্ত ওয়ার্ডে শয্যা- ৯টি, যোগাযোগ- ০৩৩ ৪০৩১৫০০০।
আইএলএস হাসপাতাল (হাওড়া):
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ৪টি, ভেন্টিলেটর যুক্ত ওয়ার্ডে শয্যা- ৭টি, যোগাযোগ- ০৩৩ ৪০৮৮০০০০।
অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস হাসপাতাল:
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ১৪টি, বিশেষ পরিষেবা যুক্ত আইসোলেশনের শয্যা- ৮টি। যোগাযোগ- ০৩৩ ২৩২০৩০৪০, ০৩৩ ৪৪২০২১২২।
ফর্টিশ হাসপাতাল:
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ২৭টি, যোগাযোগ- ০৩৩ ১০৫৭১১।
আর এন টেগর ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্স:
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ৫টি (ভেন্টিলেশন পরিষেবা যুক্ত), যোগাযোগ- ৯৯০৩৩৩৫৫৪৪।
মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল:
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ১২টি, ভেন্টিলেশন- ৭টি, যোগাযোগ- ৭০৪৪৪৮৮৮৪৫।
আমরি হাসপাতাল (ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর, সল্টলেক):
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- সবকটি শাখা মিলিয়ে মোট ১৬ শয্যা রয়েছে, ভেন্টিলেশন আছে- ৪টি, যোগাযোগ- ০৩৩ ৬৬৮০০০০০।
পিয়ারলেস হাসপাতাল:
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ৮টি, ভেন্টিলেশন শয্যা- ২টি।
রুবি জেনারেল হাসপাতাল:
আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা- ২টি, যোগাযোগ- ৯৮৩১৩৫৮০০০।
৩) জেলা ভিত্তিক সরকারি হসপিটালে মোট আইসোলেশনের শয্যা সংখ্যা
কলকাতা:
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল- ৩৫টি
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল- ১৮টি
ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ- ২টি
মেডিকেল কলেজ- ২৪টি
আরজিকর- ১২টি
এমআরবাঙ্গুর- ১৫০টি
হাওড়া:
হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল- ৪টি
উলুবেরিয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল- ৪টি
সত্যবালা দেবী আইডি হাসপাতাল- ১০টি
হুগলি:
হুগলি ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল- ১০টি
শ্রীরামপুর ওয়ালশ এসডি হাসপাতাল- ৮টি
আরামবাগ এসডি হাসপাতাল- ২০টি
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:
বারুইপুর এসডিএইচ- ৪টি
সোনারপুর আর এইচ- ১৭টি
বিজয়গড় এসজিএইচ- ২টি
বিদ্যাসাগর এসজিএইচ- ৮টি
উত্তর ২৪ পরগনা:
বসিরহাট এইচডি
বসিরহাট ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল- ৫টি
জেলায় মোট ১২ টি সরকারি হাসপাতালে ৩২ টি আইসোলেশন শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার:
আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল- ১০টি
ফালাকাটা এসএসএইচ- ৩০টি
বাঁকুড়া:
বাঁকুড়া সম্মিলনী এনসিএইচ- ১৫টি
বিষ্ণুপুর
বিষ্ণুপুর ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল- ৫টি
বীরভূম:
সিউড়ি ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল- ২৪টি
বোলপুর এসডিএইচ- ১০টি
পুরুলিয়া:
মোট আইসোলেশন শয্যা দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে- ৮টি
** রামপুরহাট
দুটি হাসপাতালে- ৮টি
কোচবিহার:
কোচবিহার গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল- ৮টি
দক্ষিণ দিনাজপুর:
বালুরঘাট ডিএইচ- ২৫টি
গঙ্গারামপুর এসডি হাসপাতাল- ৩৪টি
মালদা:
মালদা মেডিকেল কলেজ- ৫০টি
মুর্শিদাবাদ:
মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ- ১০টি
নদিয়া:
নদীয়া জেলা হাসপাতাল- ১২টি
রানাঘাট এসডিএইচ- ১৮টি
এই জেলায় সমস্ত সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে আরো আইসোলেশন বিভাগের শয্যা সংখ্যা- ১৯টি
বর্ধমান (পশ্চিম):
আসানসোল জেলা হাসপাতাল- ২৪টি
দুর্গাপুর জেলা হাসপাতাল- ৬টি
বর্ধমান (পূর্ব):
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ- ৪০টি
কাটোয়া এসডিএইচ- ২০টি
কালনা এসডিএইচ- ২৪টি
মেদিনীপুর:
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ- ১০টি
এছাড়াও পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে শয্যা সংখ্যা- ৬৫টি
নন্দীগ্রাম
নন্দীগ্রাম এসএসএইচ- ৪০টি
এছাড়া কাঁথি ও দীঘা শাখায় সরকারি হাসপাতাল দুটি মিলিয়ে আরও ৮ টি শয্যা রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সরকারি হাসপাতালে মোট আইসোলেশন ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা ১৩২৭টি। তবে মুখ্যমন্ত্রী গতকাল এই শয্যার বাইরেও প্রতিটি জেলায় বিশেষ করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া আরও ২১০টি অতিরিক্ত ভেন্টিলেশন পরিষেবা ও মোবাইল ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রাজ্যে করোনা হেল্পলাইন নম্বর:- ০৩৩ ২৩৫৭ ১০৮৩, ০৩৩ ২৩৪১ ২৬০০, ০৩৩ ২৩৫৭ ৩৬৩৬।