Corona new strain XE: করোনার নয়া প্রজাতি নিয়ে `ভয় পাওয়ার কারণ নেই`! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
নতুন এই প্রজাতি ওমিক্রনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
দেবস্মিতা দাস: চরিত্রগতভাবে রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড রয়েছে জিনের কাঠামোয়। তাই রূপ বদলে কিংবা চরিত্র বদলে খুব একটা সমস্যা হয় না করোনাভাইরাসের। ফের সেই পথই নিল অতিমারি তৈরি করা ভাইরাস। ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2 উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই XE প্রজাতির উৎপত্তি। নতুন এই প্রজাতি ওমিক্রনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
যদিও এটি প্রথম পাওয়া গিয়েছে এমনটা নয়। নতুন মিউট্যান্ট XE -এর সন্ধান জানুয়ারি মাসেই জেনেছিল বিশ্ব। XE রিকম্বিন্যান্ট (BA.1-BA.2) ব্রিটেনে প্রথম পাওয়া যায়। সেই সময় এর সংক্রমক চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি এই নয়া প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়তেই চিন্তা বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে যে নতুন ও পুরোনো স্ট্রেনের মধ্যে সংক্রমণ এবং রোগের বৈশিষ্ট্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু বিশদে এখনও কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁদের।
এই XE প্রজাতিকে ওমিক্রন ভাইরাসের সংকর প্রজাতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষবার এটির হদিশ মেলে। কিন্তু তারপর আর কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফের ৬০০জন রোগীর দেহে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মানুষ সচেতন না হলে নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে।
যদিও টাটা ইনস্টিটিউট ফর জেনেটিক্স অ্যান্ড সোসাইটির ডিরেক্টর ডাঃ রাকেশ মিশ্র সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, যে দেশে এখনই এটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। সারা বিশ্বে ৬০০টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। কিন্তু নজরদারির প্রয়োজন আছে। এটি যে কোভিড ঢেউ তৈরি করতে পারে এমন কোনও ইঙ্গিতও নেই।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ কমায় ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। দেশে স্বাভাবিক হয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। রাজ্যে কমেছে রাজ্যের করোনাভাইরাস সংক্রমণ। বেড়েছে সুস্থতার হার। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র।