Omicron: ওমিক্রন রুখতে নয়া ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত, বড় ঘোষণা নোভাভ্যাক্সের
বিশ্বে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সময় যত এগোচ্ছে বিশ্বে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। এখনও পর্যন্ত ৩০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমক প্রজাতি৷ স্পাইক প্রোটিন বদলে ভাইরাসটি আদৌ মারণ হয়ে উঠতে পারে কি না তা অবশ্য এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে দুটি কোভিড টিকা নিয়েছে এমন ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়েছে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠছে সব ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা নিয়ে।
নয়া প্রজাতির বিরুদ্ধে বিশ্বের কোন ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা এখন পরীক্ষা নীরিক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। সেই আবহেই নোভাভ্যাক্সের তরফে জানান হয়েছে নতুন বছরে জানুয়ারি থেকেই এই প্রজাতির বিরুদ্ধে টিকা তৈরি শুরু করবে সংস্থাটি। সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, নোভাভ্যাক্সের টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি এই প্রজাতিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারছে কি না তা গবেষণা করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, Coronavirus: দেশে ৯ হাজারের ওপর দৈনিক সংক্রমণ, ভারতে বাড়ল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা
নোভাভ্যাক্স আরও বলেছে যে এটি একটি ওমিক্রন-এর স্পাইক প্রোটিনের মতো অ্যান্টিজেন তৈরি করা শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি নতুন ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও শুরু করবে। বিশ্বে ব্যবহৃত সব ভ্যাকসিনই যে সুরক্ষা দিচ্ছে ওমিক্রণের বিরুদ্ধে এ তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও। তাই জনস্বাস্থ্য রয়েছে এক মহাসঙ্কটে। ওমিক্রন উদ্বেগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী জারি রয়েছে সতর্কতা।
তবে শুধু নোভাভ্যাক্স নয়, ফাইজার মডার্নার মতো ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থারাও ওমিক্রণ রুখতে কোভিড শট তৈরির কাজ শুরু করেছে। তবে ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। WHO বলছে, কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের প্রাথমিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে এই প্রজাতি পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অর্থাৎ, যাদের আগে কোভিড-১৯ ছিল তাদের দেহে সহজে পুনরায় সংক্রমিত হতে পারে ওমিক্রন। কিন্তু এ সংক্রান্ত তথ্য সীমিত। হু আরও বলেছে যে ভ্যাকসিন এই মারাত্মক রোগসংক্রমন এবং মৃত্যু কমাতে সবসময় কার্যকরী নয়।ডেল্টা সংক্রমণও অনেকক্ষেত্রে আকটাতে অক্ষম ভ্যাকসিন।