নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে! প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৮৮৭ জন৷ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক! এই ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৯৪ জনের৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৭০। স্পেনকে টপকে মোট করোনা আক্রান্তের হিসাবে পঞ্চম স্থানে উঠে এল ভারতের নাম। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর একটি বিবৃতি নতুন করে চিন্তা বাড়াল।


WHO-এর জরুরী স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক (executive director) ডঃ মাইকেল রায়ান জানান, ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি এখনও বেশ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’! তাঁর মতে, এই দেশগুলিতে এখনও সে ভাবে করোনা সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণ’ ঘটেনি। এখনও সংক্রমণের ব্যাপকতার সম্মুখীন হয়নি এই দেশগুলি।


গত ২৫ মে ডঃ রায়ান জানিয়েছিলেন, গোটা বিশ্বেই এখন করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হতে চলেছে। এই পর্যায়ে আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের ঘটনা। ভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হবে বিভিন্ন দেশেই। এই সময় কোনও রকম অসাবধানতা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে! অর্থাৎ, প্রথম ধাক্কার পর কয়েক মাস বাদেই ফিরে আসবে ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ। এই সময় অনেক দেশেই করোনা পরিস্থিতি চরমে পৌঁছাতে পারে। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলে জানান ডঃ রায়ান।


আরও পড়ুন: ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি! মাস্ক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল WHO


শনিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে WHO-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাঁদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ, গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে তাঁদের অবশ্যই ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক পরা উচিৎ। যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কে করোনার সংক্রমণ রোখা যাবে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির জন্যই সকলকে সতর্ক করে দিল WHO।