নিজস্ব প্রতিবেদন: জরুরি ক্ষেত্রে ও শর্ত সাপেক্ষে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োগ করা হবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন Covishield ও ভারত বায়োটেকের Covaxin। এই দুই ভ্যাকসিনকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে Drugs Controller General of India। তার তার পরেই Covaxin-কে  বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিনটি এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেনি। এনিয়ে দেশের মানুষকে আশ্বাস দিলেন এইমস প্রধান ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- BJP কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ,  Suvendu-র সভা শেষে রণক্ষেত্র কাঁথি


রবিবার এইমস ডিরেক্টর সংবাদমাধ্যমে বলেন, কেউ Covaxin নেওয়ার পর কোনও সাইড এফেক্ট হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দেশে ব্রিটেনের নতুন প্রজাতির করোনা সংক্রমণ বাড়লে Covaxin ব্যবহার করা হবে। তবে তা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময়েও কারও টিকা নিয়ে সাইড এফেক্ট হলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ছিল। এবার আমজনতাকে তা দেওয়া শুরু হওয়ার পরও একই ব্যবস্থা থাকছে।



Covaxin এখনও তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেনি। তাহলে কীভাবে তা প্রয়োগের জন্য অনুমতি দিল DCGI? এমন প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে  কংগ্রেস ও বামেরা। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের দাবি, চটজলদি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে Covaxin-কে। অন্যদিকে, কোভ্যাকসিন নিয়ে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা দূর করতে এই টিকার ট্রায়াল ও তার ফলাফল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।  পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কোনও রকম শর্টকাট পদ্ধতিতে কোনও ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলে তার ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে।


আরও পড়ুন-কেমন আছেন BCCI সভাপতি সৌরভ, ফোনে খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi


Covaxin নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন রণদীপ গুলেরিয়া। এইমস প্রধান বলেন, 'ভ্যাকসিন নিয়ে এরকম রাজনীতি কাম্য নয়। বিজ্ঞানীরা রাজনীতি জানেন না। তারা অক্লান্তভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে চলেছেন। নতুন প্রজাতির করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কাজ করার সম্ভাবনা খুবই বেশি।'