নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা টিকা তৈরির জন্য রবিবার টুইটে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানানোর পর এবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকেও তাঁদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার National Metrology Conclave-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'খুব শীঘ্রই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি চালু হতে চলেছে ভারতে। এর পেছনে দেশের যেসব বিজ্ঞানী, চিকিত্সক ও টেকনিশিয়ান জড়িত রয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ। এদের কাছে গোটা দেশ ঋণী। নতুন বছরে ভারত এক নতুন সাফল্যের উচ্চতা ছুঁয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা একটি নয় দুটি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছেন।'


আরও পড়ুন-BVP-TMCP সংঘর্ষে ধুন্ধুমার বাজকুল কলেজে, বোমাবাজি, বাইকে আগুন


জরুরি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য এখনও পর্যন্ত ২টি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে একটি হল ভারত বায়োটেকের Covaxin এবং অন্যটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার Covishield। এনিয়ে প্রধানমমন্ত্রী(Narendra Modi) আজ বলেন, CSIR এর বিজ্ঞানীদের অনুরোধ, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে তাঁদের অভিজ্ঞতা দেশের পড়ুয়া ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে শেয়ার করুন। এর ফলে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানী হওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের টিকার গুণগত মানের ওপরে। মান ভালো হলে গোটা দুনিয়ায় ভারতের গুরুত্ব একলাফে অনেকটাই বেড়ে যাবে।


রবিবার প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ' যে দুটি করোনা ভ্যাকসিনকে জরুরি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা ভারতেই তৈরি। এর জন্য গোটা দেশের গর্ব বোধ করা উচিত। আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করতে আমাদের বিজ্ঞানীরা কতটা উদগ্রীব তা প্রমাণ করে এই দুই ভ্য়াকসিন।'


আরও পড়ুন-রাজ্যে হিংসা-ই মমতাজির পতনের কারণ হতে পারে : Asaduddin Owaisi


করোনার টিকা নিয়ে তার প্রস্তুতকারকদেরও একপ্রকার একটা বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।  সোমবারের ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন,' আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হল মেক ইন ইন্ডিয়া(Make In India) প্রডাক্টের গ্রহণযোগ্যতা গোটা দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'


দুই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে কীভাবে? গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, প্রথম দফায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৩ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা নিয়ন্ত্রণে ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মীরা। দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ২৭ লাখ মানুষকে।