ওয়েব ডেস্ক: স্লিম আর সুস্থ থাকতে চান?  খাবার পাতে ভাত-রুটির পরিমাণ কমান।  একথালা ভাত আর দু পিস মাংস নয়, সুস্থ থাকতে ডাক্তারদের পরামর্শ, একবাটি মাংস আর অল্প ভাত। সঙ্গে প্রচুর শাকসবজি। ফলমূলও খান প্রচুর।  ভাত-রুটি  না খেলেও চলবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাজ, কাজ আর কাজ। খাওয়ার সময় কই! একটু কিছু মুখে দিয়েই দে ছুট। কখনও একটা কেক, দুটো কুকিজ আর ডাবের জলে লাঞ্চ।


দুপুরে আয়েশ করে একথালা ভাত আর চর্ব, চোষ্য, লেহ্য, পেয়-র দিন শেষ। ডাক্তাররাও বলছেন, খেয়েছেন কী মরেছেন! তাঁদের পরামর্শ, ভাত, রুটি বেশি নয়। বরং মাছ, মাংস, সবজি বেশি খেয়ে সুস্থ থাকুন আর দীর্ঘদিন বাঁচুন।


আধুনিক গবেষণা বলছে, কার্বোহাইড্রেট মেদ বাড়ায়। ক্ষতি করে ফুসফুসের। বিশেষত হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার যেমন হোয়াইট ব্রেড, কর্নফ্লেক্স বা মুড়ি ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।  


ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের একটি গবেষণা বলছে, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই)খাদ্যের কার্বোহাইড্রেটের মান পরিমাপক। কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে তা নির্ভর করে এর ওপর। হাই জিআই সমৃদ্ধ খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় ও ইনসুলিনের মতো এক ধরনের হরমোন আইজিএফের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার আইজিএফ বাড়ায় ফুসফুস ক্যানসারের আশঙ্কা।


হাই জিআইযুক্ত খাবার তাই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। যেমন, হোয়াইট ব্রেড, কর্নফ্লেক্স, মুড়ি, ব্র্যান ফ্লেক্স, ইনস্ট্যান্ট ওটমিল, রাইস পাস্তা, ম্যাকারনি, আলু, মিষ্টি কুমড়ো, পপকর্ন, তরমুজ, আনারস। তবে খাদ্যে অবশ্যই রাখতে হবে লো জিআই যুক্ত খাবার। যেমন, যবের ভুসি, হোলমিল পাস্তা, মিষ্টি আলু, ভুট্টা, বাটারবিন, ডাল। খেতে হবে প্রচুর ফলমূল। অর্থাত্‍ শরীরে নিতে হবে প্রচুর ভিটামিন।


তা বলে শর্করা কি একদমই বর্জ্যনীয়? আধুনিক ডায়েটিশিয়ানদের দাবি, কাজ এবং ওজন অনুযায়ী  শরীরে শর্করার প্রয়োজন।


শুধুমাত্র ডায়েট কন্ট্রোল করছি বলে না খেয়ে কিন্তু পার পাবে না নব্য প্রজন্ম। কেক, কুকিজ বা দুটো বিস্কুট নয়, খাবার পাতে বাড়াতেই হবে ডাল, শাক-সবজি, মাছ-মাংস।