ওয়েব ডেস্ক: ডিম ছাড়া চলে না? খাদ্যতালিকায় ডিম মাস্ট? কিন্তু কাঁচা ডিম রাখছেন কোথায়? ফ্রিজে? ভুল করছেন। ডিমের যাবতীয় গুণ চলে যায় ফ্রিজের ঠান্ডায়। সেই ডিম খেয়ে বারোটা বাজছে শরীরের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আন্ডার ফান্ডাটা ঠিক কী? ধবধবে সাদা ডিম দেখে মজেছেন তো? শুধু পাতে পড়ার অপেক্ষা। সক্কাল সক্কাল ডিমসেদ্ধ হোক বা দুপুরের লাঞ্চে ঝাল ঝাল ডিমের কারি। টিফিনে ডিমের ওমলেট হোক বা এগ চাউমিন। নাম শুনে জিভে জল আসে না, এমনটা কেউ নেই। ডিম মানে একটা অন্য ব্যাপার।


ডিম তো খাচ্ছেন রোজ। খেতে ভাল। শরীরের পক্ষেও উপকারি। কারণ, শরীরে যাচ্ছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন। বাজার থেকে ক্রেটভর্তি ডিম আসছে বাড়িতে। ঢুকে যাচ্ছে সটান ফ্রিজে। রয়ে-বসে খাচ্ছেন। দিনের পর দিন কাঁচা ডিম থাকছে ফ্রিজবন্দি। বদভ্যাসের হাত থেকে রেহাই নেই ডিমেরও। আর এখানেই বিপদ।  (আরও পড়ুন- ঘনঘন ডাক্তার বদলে মারাত্মক বিপদ! )


সাধারণত ‍১টি ডিমে ১৩টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। এতে ৬ গ্রাম অত্যন্ত উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে। ডিম যে কোনও মানুষের খাদ্যাভাসের সুষম আহার বলেই বিবেচিত হয়।
কিন্তু ফ্রিজে দিনের পর দিন কাঁচা ডিম রেখে দেওয়ার বদভ্যাস ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফ্রিজের ঠান্ডা কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা খাদ্যগুণ নষ্ট করে দেয়। ডিমের মধ্যে বেশ কিছু খনিজ পদার্থ থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ফ্রিজের ঠান্ডা ওই খনিজ পদার্থগুলো অকেজো করে দেয়। ডিমের মধ্যে থাকা অ্যাক্টিভ এনজাইম ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যায়। ঠান্ডায় ডিম রাখলে তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতাও বাড়ে।


আর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঠান্ডা ডিমের জন্য গ্যাসট্রোএনটেরেটিস ও ফুড পয়জেনিংয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই ডিম খান। নির্দ্বিধায় খান। তবে, দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে নয়। টাটকা ডিম খান। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।