নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫৫টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে তিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। শুরু হতে চলেছে করোনার নাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও। তবে টিকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়, এ কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে টিকা হাতে এলেও কি করোনা সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রথম ধাপে তৈরি করোনা প্রতিষেধকেই রোগ মুক্তি ঘটবে বা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মুক্ত হওয়া যাবে, এমনটা আশা করা ঠিক হবে না। তবে এই প্রতিষেধক করোনার উপসর্গগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।


অক্সফোর্ডের করোনা টিকার গবেষণার সঙ্গে যুক্ত প্রধান বিজ্ঞানী স্যার প্যাট্রিক ভ্যালন্সে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যাঁদের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর শুরুতেই করোনার টিকা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। কিন্তু টিকা দিলে উপসর্গ কমবে ঠিকই, তবে সম্পূর্ণ রূপে করোনা মুক্তি এখনই ঘটবে না। তাঁর মতে, উপসর্গ যুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা যদি অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়, তাহলেই অনেকটা উপকার হতে পারে।


আরও পড়ুন: বিশেষ উদ্দেশ্যে উহানের ল্যাবেই তৈরি করা হয় করোনাভাইরাস! বিস্ফোরক দাবি চিনা বিজ্ঞানীর


স্যার প্যাট্রিক ভ্যালন্সের মতে, শুধু টিকায় কাজ হবে না। এর পাশাপাশি সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্কের ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্য বিধিগুলি মেনে চলাও জরুরি। প্রতিষেধকের দুটি ডোজ শরীরে করোনার উপসর্গ কমাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর মতে, প্রথম একটি করোনার টিকা নেওয়ার একমাস পর ফের একবার টিকা নিতে হবে। তাহলেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।