জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এপিলেপ্সি কী? রোগটিকে আমরা মৃগী হিসেবে চিনি। প্রতি বছর ২৬ মার্চ দিনটি 'পার্পল ডে অফ এপিলেপ্সি' হিসেবে পরিচিত। কানাডায় ২০০৮ সালে দিনটি প্রথম পালিত হয়েছিল। এটি একটি স্নায়ুরোগ। তবে রোগটি নিয়ে খুব বেশি ধারণা প্রায় কারওরই নেই। রোগটি নিয়ে একটা সামাজিক ছুঁতমার্গও তৈরি হয়েছে। তবে রোগটি আগ্রহ তুঙ্গে। যেহেতু মৃগী সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায় না, তাই সাধারণ মানুষ এর সম্পর্কে জানতে চান। যেমন, সকলেই জানতে চান, ঠিক কতটা ক্ষতিকর রোগটি? এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগাক্রান্ত ব্যক্তির কি মৃত্যু তরান্বিত হয়?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কবে পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিচ্ছে করোনা অতিমারি? অবেশেষ পরিষ্কার করে জানিয়েই দিল WHO...


মৃগীরোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় পার্পল ডে। বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশ ২৬ মার্চ পার্পল ডে দিনটি পালন করে। অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এ বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করে। এখনও পর্যন্ত মৃগীরোগের তেমন কোনও চিকিৎসা নেই। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা সত্যিই সাহায্য করতে পারে। মৃগী রোগের প্রধান লক্ষণ হল খিঁচুনি। দু’টি মূল ধরনের খিঁচুনি দেখা যেতে পারে, প্রথমটি হল সাধারণ খিঁচুনি যা পুরো মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং দ্বিতীয়টি হল আংশিক খিঁচুনি যা মস্তিষ্কের একটি অংশকে প্রভাবিত করে।


খিঁচুনি বা মৃগীর নানা কারণ রয়েছে। বংশ পরম্পরায় রোগটি বাহিত হয়। দেখতে গেলে রোগটি আসলে উত্তরাধিকারসূত্রে আসে। খিঁচুনি হলে যাঁর হয় তাঁর এ বিষয়ে কোনও স্মৃতি থাকে না। অর্থাৎ, সুস্থ হয়ে উঠে তিনি সব শুনে আশ্চর্য হয়ে যান। বিশ্ব জুড়ে কম পক্ষে ৫ কোটি মানুষ এই রোগে ভোগেন। 


আরও পড়ুন: H3N2: কী এই H3N2? জেনে নিন কীভাবে বাঁচবেন ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে-ওঠা নতুন এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে...


জেনে নিন কখন-কখন রোগটি বাড়ে:


জ্বর হলে


ঘুম কম হলে


মানসিক চাপ বাড়লে


অ্যালকোহল ক্যাফিন বেশি খেলে


পুষ্টিকর খাবার শরীরে কম ঢুকলে


কারও খিঁচুনি হচ্ছে দেখলেই সবার আগে রোগীর মাথাটা নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁরে পাশ ফিরে রাখতে হবে। যখন খিঁচুনি চলতে থাকবে তখন সংশ্লিষ্ট রোগীকে টানাটানি করলে চলবে না। তাঁকে সময় দিতে হবে।


যে ব্যক্তি মৃগী বা খিঁচুনিতে ভোগেন তাঁকে এই পরিস্থিতিগুলি এড়িয়ে চলতে হবে। মানে তাঁকে পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে, মানসিক চাপে ভুগলে চলবে না,  মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ক্যাফিনকে জীবন থেকে বিদায় জানাতে হবে এবং  পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। জ্বর হওয়াটা তো কারও হাতের মধ্যে থাকে না। তবে তাকে সাবধানে থাকতে হবে।


একটি নতুন গবেষণা বলছে, মৃগী রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। একটি নিউরোলজি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। তা-ও আবার কমবয়েসি মৃগী রোগীদের মধ্যে এই মৃত্যুর প্রবণতা বেশি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)