নিজস্ব প্রতিবেদন :  বর্তমান যুগে অন্যতম বড় শারীরিক সমস্যা স্থুলতা। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, জাঙ্কফুড ইত্যাদি কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন সিংহভাগ মানুষ। তা ছাড়া হরমোন বা জিনগত কারণে ভুঁড়ির সমস্যা তো আছেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তড়িঘড়ি ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। উপোস করে, অনেকক্ষণ অন্তর খেয়ে বা একদমই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন অনেকে। ডায়েট সম্পর্কেও অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। এ ভাবে  অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাওয়া দাওয়ায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনেন অনেকে। 


আরও পড়ুন : জেনে নিন বেথো শাকের ৬টি অশ্চর্য ওষধিগুণ


প্রতিদিন অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে ওজন কমতে পারে। তবে, এ ক্ষেত্রে  হিতে বিপরীত হতে পারে। উপোস করে বা একেবারে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলে ওজন না কমে উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়। ফ্যাট না কমে উল্টে শরীরের পেশির পরিমাণও কমতে পারে। এমনটাই মত ডায়েটিসিয়ানদের।


কী ক্ষতি হয় উপোস করে ওজন কমাতে চেষ্টা করলে?


অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরের মেটাবলিজম কমে যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে ১,২০০ কিলো ক্যালোরির কম খেলে অনেকটাই কমে যায় মেটাবলিজমের পরিমাণ। ফলে, শরীরে শক্তির ব্যবহার কমে যাবে। ফ্যাট বা চর্বি কমবে না। উল্টে শরীর দূর্বল  হয়ে যাবে। ফলে, আপনার ওয়ার্ক আউট থেকে আশানুরূপ ফল পাবেন না। তা ছাড়া হয় আলসার,  গ্যাসট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ত্বকের জেল্লা কমে যায়। 


তা হলে উপায়?


'ডায়েট' শব্দটির অর্থ উপবাস বা না খেয়ে থাকা নয়। আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত ক্যালোরির খাবার খান। খাবারের পাতে রাখুন কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনের সুষম ব্যালেন্স।


ওজন কমাতে হলে প্রথমেই বাদ দিন জাঙ্ক ফুড, ডিপ ফ্রায়েড খাবার-দাবার ও কোল্ড-ড্রিংক্স। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্য়াটের পরিমাণ রাখুন কমের দিকে। পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফল, ছোট মাছ, চিকেন ব্রেস্ট। স্ন্যাক্স হিসাবে খান অঙ্কুরিত ছোলা, আমন্ড, মরশুমি ফলের স্যালাড। সারাদিন বারবার খান, কিন্তু অল্প পরিমাণে খান। উপকার পাবেন।