নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের বেশির ভাগ স্থানের জলবায়ুই উষ্ণ ও আর্দ্র। এর ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। অসংখ্য মানুষ সারা বছর ক্রনিক সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও কয়েক দিন যেতেই সেই একই অবস্থা। সর্দি-কাশি-হাঁচির জন্য শরীর খারাপ। ফলস্বরূপ স্কুল -কলেজ বা অফিস কামাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দৈনন্দিন জীবনে কিছু টোটকা মেনে চললেই সর্দি-কাশি থাকবে দূরে। ছোট ছোট বদল খাদ্য-তালিকায়, আর কিছু সহজ নিয়ম। ব্যস, শরীর থাকবে সুস্থ।


দেখে নিন, কী করে সর্দি-কাশি দূরে রাখবেন -


১) সর্দি-কাশি দূরে রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। মধুতে আছে একাধিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে কাশির সমস্যা থাকলে  অবশ্যই খান মধু। রোজ সকালে খালি পেটে মধু খেতে পারেন। তা ছাড়া খাবারে চিনির বদলেও ব্যবহার করা যেতে পারে মধু।


২) সর্দির ধাত থাকলে রোজ পাতে অবশ্যই রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসাম্বি লেবু, বাতাবি লেবু, পেয়ারা এমন কী কাঁচা লঙ্কাতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।


৩) রোদ থেকে এসে এসিতে ঢোকার সময়ে সাবধান। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে সহজেই হতে পারে সর্দি। এসিতে ঢোকার আগে পাখার তলায় বা ছায়ায় কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিন।
 
৪) সর্দি-কাশির ধাত থাকলে এয়ার কুলার ব্যবহার না করাই ভাল। এয়ার কুলারের ঠান্ডা আর্দ্র হাওয়ায় সাময়িক স্বস্তি মিললেও হিতে বিপরীত হতে পারে।


৫) রোদে বের হলে সঙ্গে অবশ্যই ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।


আরও পড়ুন: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি বুঝিয়ে দেবে এই ৭ লক্ষণ


৬) কনকনে ঠান্ডা জল বা পানীয় এড়িয়ে চলুন। রোদ থেকে এসে তো নৈব নৈব চ।


৭) জীবাণুর সংক্রমণ থেকেও খুব সহজেই সর্দি-কাশি হয়। ট্রেনে-বাসে যাতায়াতের পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই হাত-মুখ ভাল করে ধোবেন। খোলা জায়গায় রাখা খাবার খাবেন না।


৮) স্নান করে ভেজা চুল নিয়ে কড়া রোদে বের হলে হতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা। হেয়ার ড্রায়ার বা তোয়ালে দিয়ে চুল ভাল করে শুকিয়ে তবেই বের হন। 


৯) আইসক্রিম খান। তবে খাওয়ার পরে এক গ্লাস সাধারণ তাপমাত্রার জল খেয়ে নিন । কাশি হবে না।


১০) বৃষ্টিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়ি ফিরে স্নান করে চুল শুকিয়ে নিন।