নিজস্ব প্রতিবেদন: এখন বেশির ভাগ অফিসেই ২৪ X ৭ ঘণ্টা কাজ চলে। সকাল থেকে বা বেলার দিক থেকে সন্ধে পর্যন্ত কাজ তো স্বাভাবিক নিয়ম। তবে বর্তমানে ২৪ X ৭ ঘণ্টা কাজের চাপে মাসের পর মাস টানা রাত জেগে অফিসে কাজ করছেন বহু মানুষ। একটানা এই ভাবে নাইট শিফটে কাজ করার চাপ নিতে পারেন না অনেকেই। বেশির ভাগ মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর যাঁরা এই নাইট শিফটের কাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, বদলে যায় তাঁদের নাওয়া, খাওয়া, ঘুমের সময়। শুধু তাই নয়, বিগড়ে যেতে পারে আমাদের ডিএনএ-র গঠন, কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ‘অ্যানাসথেসিয়া অ্যাকাডেমিক জার্নাল’ নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে একটানা এই ভাবে নাইট শিফটে কাজ করার ফলে ডিএনএ-র গঠন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে ডি অক্সি রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিডের গঠন। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কমে যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা রোগ।


আরও পড়ুন: ভারতে মাদক নির্ভরশীলতা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে! আশঙ্কা এইমস-এর রিপোর্টে


হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, একবার নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিএনএ-র পুনর্গঠন সম্ভব নয়। তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, দিনের শিফটে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা নাইট শিফটে কাজ করেন, তাঁদের ডিএনএ-র গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হয়, নষ্ট হয়। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মত, এর জন্য দায়ি অনিদ্রা বা অপর্যাপ্ত ঘুম। তাঁদের মতে, ঘন ঘন নাইট শিফটে কাজ শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর! তাই তাঁদের পরামর্শ, নাইট শিফটে কাজের বিষয়ে কিছুটা রাশ টানা উচিত বেসরকারি সংস্থাগুলির। পরিবর্তন আনা উচিত নাইট শিফটে কাজের নিয়ম বা ধরনেও।