ওয়েব ডেস্ক: আপনার বাচ্চাকে ফলের রস খাওয়াচ্ছেন? ভাবছেন খুব লাভ হচ্ছে? আদতে কিছু হচ্ছে কি? বরং গোটা ফল খাওয়ান। গোটা ফলেই বাচ্চার স্বাস্থ্য। রস ছাড়ুন, গোটা খান। ফল না ফলের রস । কোনটা বেশি উপকারী ? উপকারের দিক থেকে কোনটা কম, কোনটা বেশি?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফলের রসের চেয়ে গোটা ফলেই নিদান পুষ্টিবিদদের। ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর ও হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকদের দাবি, গোটা ফল টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। সে তুলনায় ফলের রসে আশঙ্কা ততটা কমে না।


গোটা ফলে রয়েছে ভিটামিন C, ভিটামিন A, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল। এগুলি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়। ক্যানসার, হার্টের সমস্যা কমায়। কিন্তু শুধু রসটুকু বের করে নিলে ভিটামিন, ফাইবার ও পটাসিয়াম নষ্ট হয়ে যায়।


ফলের রসের চেয়ে পুরো ফলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ২৩ থেকে ৫৪ শতাংশ বেশি থাকে। চিনির পরিমাণ অন্তত ৩৫ শতাংশ কম থাকে। তাই ফলের উপকারিতা বেশি।


ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তার রসের চেয়ে কম। কোনও খাবারের শ্বেতসার-শর্করা কত দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়, তার পরিমাপ হল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। ফলের রসের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে তা বেশি দ্রুত শরীরে চলে যায়। তাই পুরো ফল খাওয়াই বেশি ভাল।


ফল অনেক বেশি সহজপাচ্য। কারণ এতে থাকে ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজ ও লেভ্যুলোজ। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও ওজন কমাতে আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন।


কমলালেবুর ভেতরের নরম শাঁসে রয়েছে ফ্লেভনয়েড। কমলার রঙিন উপাদান। ফ্লেভনয়েড ও ভিটামিন C প্রায়ই একসঙ্গে কাজ করে। তাদের মধ্যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উপকার করে। কমলার রস বের করে নিলে সেই সঙ্গে ফ্লেভনয়েডও বহুলাংশে কমে যায়। ফলে উপকারিতা কমে। তাই রস ছাড়ুন। গোটা খান।


কীভাবে ভয়ঙ্কর জিকার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবেন? জেনে নিন


আপনি কি লাইট সিগারেট খান, যাতে ক্যানসারের কবলে না পড়েন? ভুল করছেন