নিজস্ব প্রতিবেদন: ডিপথেরিয়ার রোগটির নাম আমরা অনেকেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। কিন্তু ডিপথেরিয়া কী বা এই রোগে আক্রান্ত হলে কী হতে পারে, এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আমাদের অনেকেরই নেই। সময় মতো চিকিত্সা না করা গেলে এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডিপথেরিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় টনসিল। সংক্রমণ ছড়ালে এর রং কালচে বা ধূসর রঙের হয়ে যায়। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকরা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসুন এ বার ডিপথেরিয়া রোগটির সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী এই ডিপথেরিয়া?


ডিপথেরিয়া শ্বসনতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একটি রোগ। করনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি (Corynebacterium diphtheriae) নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ি। প্রধনত শিশুরাই এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। করনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি ব্যাকটেরিয়া সাধারণত গলা এবং শ্বাসনালীকেই আক্রমণ করে। এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সময় মতো ঠেকাতে না পারলে, চোখের কনজাংটিভা এবং জননাঙ্গও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।



সম্প্রতি ‘জার্নাল অব কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিটিক্যাল রিসার্চ’ (Journal of Chemical and Pharmaceutical Research) নামের একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে জন্ম নেওয়া মাইক্রোবস যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া-সহ যাবতীয় প্যারাসাইটগুলোকে শরীরে বংশবিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে। ডিপথেরিয়া রোগের প্রকোপ কমাতেও আয়ুর্বেদে সবচেয়ে উপকারি প্রতিষেধক হিসেবে রসুনের উল্লেখ রয়েছে। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধে রসুন কী ভাবে সাহায্য করে...


রোগ প্রতিরোধে রসুনের কার্যকারীতা:


১) টক্সিন দূর করতে রসুন অব্যর্থ ওষুধ। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের দূষিত পদার্থকে শরীর থেকে বার করে দেওয়ার ক্ষেত্রে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।


২) পুষ্টিবিদদের মতে, রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে রসুন খেতে পারলে ঠান্ডা লাগা বা সর্দি কাশির প্রকোপ অনেকটাই কমে যায়।


৩) রসুনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রসুন খুবই উপকারি।


৪) রসুন খাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। রসুনের রস হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যেও খুব উপকারী।


৫) ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ, যেমন ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি ইত্যাদি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে রসুন অত্যন্ত কার্যকর।


৬) বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কোয়া রসুন (২০-৩০ গ্রাম) যদি নিয়মিত মুখে অন্তত ১৫-২০ মিনিট রাখা যায়, তাহলে গলা, মুখের যে কোনও অংশের সংক্রমণ খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।