মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি, বলছেন চিকিত্সকরা
হার্টের অসুখের ভয়ে ঘি ছেড়েছেন? ভাবছেন, মোটা হয়ে যাবেন? ঘি খেলে কোলেস্টেরল হওয়ার ভয়কেও দূরে সরিয়ে রাখুন। চিকিত্সকরা বলছেন, ঘি খান নিশ্চিন্তে। মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও ঘি-এর উপকারিতা অসীম।
ওয়েব ডেস্ক: হার্টের অসুখের ভয়ে ঘি ছেড়েছেন? ভাবছেন, মোটা হয়ে যাবেন? ঘি খেলে কোলেস্টেরল হওয়ার ভয়কেও দূরে সরিয়ে রাখুন। চিকিত্সকরা বলছেন, ঘি খান নিশ্চিন্তে। মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও ঘি-এর উপকারিতা অসীম।
সেই দুধ থেকেই ঘি। দুধ না খেলে যেমন গায়ে লাগে না গত্তি, ঘি-ও তাই। স্বাদ, গন্ধেও অদ্বিতীয়। ঘি-এ ভাতে বাঙালির ষোলোআনা রসনা তৃপ্তি। কিন্তু সেই ঘি-ই একান্নবর্তী সেনশর্মা পরিবারের হেঁশেলে ঘটিয়ে দিয়েছে বিভাজন। কোলেস্টেরল ধরা পড়ায় ঘি খাওয়া মানা বড়ভাইয়ের। তাই তার মনে ভারী দুঃখ।
সেই দুঃখে সামিল ছোটভাইও। বাড়ির সব সদস্যের পাতে ঘি মাস্ট। ঘি-এর গন্ধে ম ম করে গোটা বাড়িটা। ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ, টিফিন হোক বা ডিনার, ঘি ছাড়া সেনশর্মা পরিবার কিচ্ছু ভাবতেই পারে না। কিন্তু বড়ভাইয়ের পাতে ঘি পড়ে না। বাবার কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে দুবছর আগে। ওজন বাড়ছে মেয়েরও। তাই একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আইনের ছাত্রীটি।
আরও পড়ুন গর্ভাবস্থায় কী করলে বাচ্চার ত্বক ভালো থাকবে জানুন
ঘি-ময় পরিবারটিতে তাই একটু একটু করে ঢুকে পড়েছে অজানা ভয়। এই ঘি-প্রীতি আবার হার্টের অসুখ ডেকে আনবে না তো? সেনশর্মা পরিবারকে আশ্বস্ত করছেন চিকিত্সকরা। কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখের ভয় ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
১) দুধের চেয়েও ঘি হজমের শক্তি বেশি বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি চিকিত্সকদের।
২) জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর এনার্জি ফিরে পাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
আরও পড়ুন ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট
৩) চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঘি খেতে বলছেন চিকিত্সকরা।
৪) সদ্যোজাতদের দুই থেকে পাঁচ ফোঁটা ঘি খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
৫) কেটে গেলে ঘি লাগালে চটজলদি উপকার।
৬) ফাটা ঠোঁট, ফাটা গোড়ালি এবং নতুন মায়েদের স্তনবৃন্তে সমস্যা হলে ঘি-এর মতো ওষুধ নেই।
৭) ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, বাড়ে বুদ্ধিও।
আরও পড়ুন একটা আস্ত দ্বীপ নিজে নিজে সরে যাচ্ছে! দেখুন ভিডিও
৮) ব্রেকফাস্টের তিরিশ মিনিট আগে নাকে দুফোঁটা ঘি দিলে চুল ওঠার সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, কানে শোনার সমস্যা, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৯) বমির প্রবণতা কমিয়ে দেয় ঘি।
তবে জানতে হবে ঘি ব্যবহারের নিয়ম। যেমন খুশি ঘি খেলে বিপদ। চিকিত্সকরা বলছেন, ব্রেকফাস্টে শক্ত কোনও খাবারের সঙ্গে আধ চামচ ঘি, তারপর নরম খাবার এবং শেষে দই খেতে হবে। ঘি খাওয়ার পর খেতে হবে কোনও গরম পানীয়। অর্থাত্ সকালের চা বা কফির আগে পাউরুটিতে ঘি মাখিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।