নিজস্ব প্রতিবেদন: চুলের বিভিন্ন কলব বা রং করা এখনকার ফ্যাশন। কলব বা হেয়ার কালার যে চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা খারা,প তা অল্পস্বল্প সবাই জানি। তবুও সেই দিকে কেউ গুরুত্বই দেয় না। কিন্তু নিয়মিত চুলে রং করার ফলেও হতে পারে ক্যান্সার। তাই হেয়ার কালার থেকে দূরে থাকার কথাই বলেছেন বিজ্ঞানীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও বা ব্যবহার করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে টেম্পুরারি হেয়ার কালার ব্যবহার করা উচিত। যে রংগুলি এক বা দুবার শ্যাম্পু করার পর চলে যায়। কারণ, হেয়ার কালারের মধ্যে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। প্যারাবেন, অ্যামোনিয়ার মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো থাকে হেয়ার ডাই। কিন্তু সংস্থাগুলি সব সময় বলে এই রাসায়নিক গুলি কম মাত্রায় ব্যবহার করা হয়।


সাধারণত তিন রকমের হেয়ার কালার ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় টেম্পুরারি হেয়ার কালারে। এই রংগুলি বেশি দিন থাকে না। এক থেকে দু’বার শ্যাম্পু করার পরই চলে যায়। টেম্পুরারি হেয়ার কালার কিছুটা হলেও নিরাপদ। কারণ, এতে রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকে।


আরও পড়ুন: এই ভাবে চা খাওয়ার অভ্যাস বাড়ায় খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি!


কিন্তু যে হেয়ার কালারগুলি একটু বেশি দিন থাকে সেগুলি থেকেই প্রধানত ত্বকের ক্ষতি শুরু হয়। সাধারণত এই রং একমাসেরও বেশি দিন পর্যন্ত থেকে যায়।  আর যে কালারগুলি ‘পার্মানেন্ট’ হয় সেই রংগুলি সব থেকে বেশি ক্ষতিকারক হয়। এর মধ্যে রাসায়নিক বেশি মেশানো থাকে, যার থেকে শরীরে শুরু হয় বিভিন্ন রকমের সমস্যা। চুল ঝরে যাওয়া, মাথার ত্বকে অ্যাল্যার্জি, গলা ও ফুসফুসের সমস্যা, চোখের সমস্যার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গবেষকরা জানিয়েছেন, খুব বেশি রং ব্যবহার করা উচিত না। আর ব্যবহার করলেও টেম্পুরারি ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও প্রাকৃতিক হেয়ার কালার ব্যবহার করা উচিত। যখন চুলে রং ব্যবহার করবেন, তখন হাতে গ্লাভস পরে নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।