নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা যাতে দেশের সমস্ত নাগরিকের কাছে যথাযথ ভাবে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছে মোদী সরকার। মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ভারতীয় মসনদে বসার পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চিঠি দিয়ে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে যুক্ত হতে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশের অ-কংগ্রেস, অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ওড়িশা, দিল্লি, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীদের এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন হর্ষবর্ধন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, প্রটোকল মেনে শুধু চিঠি পাঠিয়েই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নিজে ফোন করে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীন পট্টনায়েক, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। হর্ষবর্ধন জানান, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এতে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আর্থিক সহায়তা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সকলের কাছেই অত্যন্ত লাভজনক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য সাফল্য হল, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে সবচেয়ে উপকৃত হচ্ছেন দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।


আরও পড়ুন: বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানে জোর দিতে নতুন দুই ক্যাবিনেট কমিটি গড়ল মোদী সরকার


এর আগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে এসে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে যোগদান না করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষারোপ করেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। পাল্টা মমতাও জানিয়ে দেন, রাজ্যের মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পই যথেষ্ঠ। কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গে নেই। এর সঙ্গেই তিনি রাজ্য সরকারের প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অসহযোগীতার অভিযোগ তোলেন। এ বার তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কোনও রাজ্য যদি ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে যুক্ত হয় সে ক্ষেত্রে সে রাজ্যের নিজস্ব স্বাস্থ্য প্রকল্প কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে কোনও ভাবেই বঞ্চিত হবে না।