ওয়েব ডেস্ক : হঠাত্‍ করে হার্ট অ্যাটাক হয় না। বলে কয়েই আসে হার্ট অ্যাটাক। লক্ষণ জানতে পারলে বিপদ এড়ানো সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাবে কিংবা গাফিলতিতেই ঘটে যায় বড়সড় ক্ষতি। এমনকী মৃত্যুও। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুটা এখন আকছার ঘটে। বয়স মানে না। তিরিশের তরতাজা প্রাণও নিমেষে চলে যেতে পারে। তবে বুকে শুধু চিনচিনে ব্যথাই নয়, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ একাধিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিকিত্সকদের দাবি, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর যতগুলি ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে সত্তর শতাংশ মানুষের বুকে ব্যথা ছাড়া অন্য লক্ষণগুলি বেশি প্রকট হয়। সেই লক্ষণগুলিই  হার্ট অ্যাটাকের বার্তা দিয়ে যায়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে সেই সব লক্ষণ  উপেক্ষা করেন অধিকাংশ মানুষ। অবহেলার কারণেই পরবর্তীতে তা বিপদের কারণ  হয়ে দাঁড়ায়। কী সেই লক্ষণ? আমেরিকান হার্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট দিয়েছে।


কী সেই লক্ষণ?
১) পুরুষদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা অথবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া।
২) দ্রুত অথবা অনিয়মিত হার্টবিট।
৩) ঘুম ঘুম ভাব, জ্ঞান হারানো অথবা মাথা হালকা হয়ে যাওয়া।
৪) ঘাম হতে হতে শরীর ছেড়ে দেওয়া।
৫) পেটের সমস্যা অথবা হজমে গোলমাল এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা।
৬) মহিলাদের ক্ষেত্রে বুকে চাপ অনুভব হওয়া।
৭) বেশ কয়েকদিন ধরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করা।
৮) উদ্বেগ ও ঘুমের ব্যাঘাত।
৯) পিঠ, গলা, হাত অথবা চোয়ালে ব্যথা।
১০) ঘুম ঘুম ভাব, পেটে ব্যথা হওয়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা।


এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো রোগকে আশি শতাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মত চিকিত্সকদের। এ ছাড়াও পরিমিত আহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফল। কমিয়ে ফেলতে হবে মাত্রাতিরিক্ত চিনি, নুন, ফ্যাট জাতীয় খাবার। নিয়মিত শরীরচর্চাও সুস্থ হার্টের অন্যতম উপায়। যে কোনও প্রকারেই এড়িয়ে চলতেই হবে তামাক জাতীয় দ্রব্য। এছাড়া ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, ব্লাড কোলেস্টেরলের মতো রোগ সম্পর্কে আগেভাগে সচেতন হলে মিলবে হৃদয়যন্ত্রণা থেকে মুক্তি।