নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালে ডিম, দুপুরে মাছ, রাতে মাংস। সঙ্গে হরেক রকমের ডাল। প্রোটিনে ভরপুর আপনার ডায়েট। কিন্তু মাত্রা ছাড়াচ্ছে না তো? জানেন কি, কতটা প্রোটিন নিতে পারে আপনার কিডনি?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা বিশ্বে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই মুহূর্তে বিশ্বে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ কিডনির রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের তুলনায় যা দ্বিগুণ এবং ক্যানসারের তুলনায় যা প্রায় ২০ গুণ। প্রতি বছর প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে আক্রান্ত। ১৭ লক্ষ মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়। কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫টি শিশুর মৃত্যু হয়। বিশ্বে প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে ১টি শিশু কিডনির রোগে আক্রান্ত।


প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ কিডনির রোগ সম্পর্কে বুঝতেই পারেন না। সাধারণত কিডনির কার্যক্ষমতা ৫০ ভাগেরও বেশি নষ্ট হওয়ার আগে কিডনি বিকলের লক্ষণ বোঝা যায় না। সাধারণত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ খারাপ হলে তার লক্ষণ হয় প্রকট। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলে আপাতদৃষ্টিতে কিছু বোঝা যায় না।


শরীর সামান্য অবসাদ? ঘুম ঘুম ভাব? মনঃসংযোগের সমস্যা? খিদে নষ্ট? পা কি অল্প ফুলছে? কিংবা শরীরে রক্ত কমে যাচ্ছে?


সবই হয়তো দেখা যায়। কিন্তু সব পরিবর্তনই খুব মৃদু। ফলে ধরা পড়ে না কিডনির অসুখ। যখন ধরা পড়ে, তখন অসুখটা গড়িয়ে গেছে অনেক দূর। তাই কিডনি বিকল হওয়াকে বলে সাইলেন্ট কিলার বা নিঃশব্দ ঘাতক। কিডনির ক্ষতির অনেক কারণ।


আরও পড়ুন: মদ্যপান করলে কি ঠেকানো যাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ? জেনে নিন কী বলছে WHO


তার অন্যতম বেশিবেশি প্রোটিন খাওয়া। বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার কিডনির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


প্রবাদ আছে, দাঁত থাকতে মানুষ দাঁতের মর্ম বোঝে না। কিডনির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা প্রায় এক। দেখতে নেহাতই ছোট। তবে কাজ শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় থাকতেই কিডনির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।