Black fungus-কে মহামারী ঘোষণার পরই নয়া গাইডলাইন AIIMS-র, উপসর্গ ধরা পড়লে কী করবেন?
প্রথমেই বলে রাখা ভালো, প্যানিক করবেন না। এতে ব্রেন এমার্জেন্সি ঘোষণা করে দেয়। তাতে, শরীরে অক্সিজেনের অভাব বুক ধরফর করা থেকে শুরু করে শরীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: AIIMS black fungus সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন জারি করেছে। এই মুহূর্তে বিরল ছত্রাকজনিত (Mucormycosis) রোগ হিসাবে পরিচিত মিউকরমাইকোসিস দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। মূলত, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের শরীরেই বাসা বেঁধেছে। AIIMS Covid ward থেকে জানান হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগী যাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগের মাত্রা বেশি রয়েছে, সেই সমস্ত রোগীদের black fungus সংক্রমণ ধরা পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
মহারাষ্ট্রে, ৯০ জন লোক মিউকরমাইকোসিসে মারা গিয়েছেন, এটি বিরল তবে এই ছত্রাকের সংক্রমণের ফলাফল মারাত্মক। রাজস্থানে, কালো ছত্রাকের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। রাজস্থান সরকার রাজ্যে black fungus-কে মহামারী ঘোষণা করেছে গতকাল (বুধবার)। এর জন্য পৃথক ওয়ার্ডও তৈরি করা হয়েছে।
কাদের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি?
১.AIIMS জানিয়েছে যে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিক কেটোসিডোসিসের জন্য অতিমাত্রায় স্টেরয়েড, টসিলিজুমাব নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।
২. যাঁদের শরীরে immunosuppressant or anticancer-র চিকিৎসা চলছে।
৩. দীর্ঘ দিন ধরে steroid ও tocilizumab নেওয়া রোগীদের ঝুঁকি থাকে।
৪. গুরুতর কোভিড রোগী যাঁরা অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। তাঁদের ঝুঁকি থাকছে। তবে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগী হলে তাঁদের সম্ভাবনা আরও বেশি।
কী করবে বুঝবেন black fungus বাসা বেঁধেছে ?
১. অস্বাভাবিক কালো স্রাব বা নাক থেকে রক্ত বের হওয়া।
২. অনুনাসিকে বাধা, মাথাব্যথা বা চোখে ব্যথা, চোখের চারপাশে ফোলাভাব, দৃষ্টিতে সমস্যা, চোখে লালভাব, চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া, চোখ খোলার অক্ষমতা।
৩. মুখের অসাড়তা
৪. চিবানো বা মুখ খোলার সমস্যা।
এই লক্ষণগুলির পাশাপাশি নিজেই নিজের পরীক্ষা করুন:
মুখের ফোলাভাব রয়েছে কিনা খেয়াল করুন। (বিশেষত নাক, গাল, চোখের চারপাশে)
কালো ছোপ ছোপ বা বর্ণহীনতা, স্পর্শে ব্যথা অনুভব মুখে, ধরে ধরে খেয়াল করুন।
দাঁত আলগা হচ্ছে কিনা দেখুন, কালো অঞ্চল এবং মুখ, তালু, দাঁত বা নাকের ভিতরে টর্চলাইট ব্যবহার করে মৌখিক এবং অনুনাসিক পরীক্ষা করুন। কিছু অন্যরকম বোধ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর দিন।
এই লক্ষণ গুলো ধরা পড়লে কী করবেন?
প্রথমেই বলে রাখা ভালো, প্যানিক করবেন না। এতে ব্রেন এমার্জেন্সি ঘোষণা করে দেয়। তাতে, শরীরে অক্সিজেনের অভাব বুক ধরফর করা থেকে শুরু করে শরীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।
লক্ষণ গুলি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ENT ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
রাতারাতি সুগার কোন স্তরে আছে সেটি পরীক্ষা করা। ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।
যারা comorbidities, তাঁদের রোজকার যা ওষুধ তা খেয়ে যেতে হবে।
নিজের থেকে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ খাওয়া যাবে না।