অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন কীভাবে?
সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পেটে ব্যথা খুবই সাধারণ একটা বিষয় হলেও, তাঁকে পাত্তা না দিলে সে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। গ্যাসের ব্যথা বলে বহু ব্যথা এড়িয়ে যাই আমরা। মূলত, মহিলাদের ঋতুস্রাবজনিত জটিলতার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা আলাদা করে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না। হঠাৎ একদিন অ্যাপেন্ডিক্সের মারাত্মক ব্যথা ব্যথায় কাবু করে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়ে যায় রোগীর।
শরীরের অবাঞ্চিত অঙ্গ অ্যাপেন্ডিক্সকে পাত্তা না দিলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই ব্যথা সম্পর্কে অবগত হন।
অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে। নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্য়থা ক্রমশ বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়।
জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে।
খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি।
কিছুক্ষেত্রে রোগী পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।
এই সমস্ত লক্ষণ দেখলে ভুলেও দেরি করবেন না। পরামর্শ নিন ডাক্তারের থেকে। কারণ অ্যাপেন্ডিক্সকে অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এখন ল্যাপারোস্কোপি করে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে পেট না কেটেই বাদ দেওয়া হয় অ্যাপেন্ডিক্স।