নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যান্সারের মতো ডায়াবেটিস বা সুগারও এখন ঘরে ঘরে দেখতে পাওয়া যায়। প্রতি ৪-৫ জনের পরিবারে একজন করে সুগারের রোগী থাকে। আর এই রোগ বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। সুগারে আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ বাদ দিলে চলে না। কারণ, একদিন ওষুধ বাদ পড়লেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রোগীকে। অনেক সময় সুগার লেভেল আচমকা নেমে যায়। একে চিকিত্সকরা বলেন ‘হাইপোগ্লাইসিমিয়া’ (Hypoglycemia)। হাইপোগ্লাইসিমিয়ায় দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। কিন্তু কী করে বুঝবেন আপনার সুগার লেভেল নেমে গিয়েছে? জেনে নিন....


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হটাৎ করে সুগার লেভেল নেমে গেলে রোগীর খুব খিদে পাবে। সারা শরীরে ঘাম হবে। হটাৎ করেই রোগী সব কিছু ঝাপসা দেখবে। এছাড়াও হাত-পা কাঁপার মতো ঘটনা ঘটবে। মাথা যন্ত্রণা করবে। শরীরে ক্লান্তভাব দেখা দেবে।


হটাৎ করে সুগার লেভেল নেমে গেলে কী কী করবেন:


১) চিনি বা গুড় সুগার লেভেল বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই হালকা গরম জলে এক চামচ সমান চিনি বা গুড় মিশিয়ে খান।


২) টমেটোতে থাকে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা যকৃত আর অগ্নাশয়ের মতো সমস্যাকে দূর করে। অনেক সময়ে অগ্নাশয়ে সমস্যার কারণে সুগার লেভেল নেমে যায়। তাই সেক্ষেত্রে নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন।


৩) আপেল সুগার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়াম থাকে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।


আরও পড়ুন: অকালে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া-সহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ি নিত্য ব্যবহারের টুথপেস্ট!


৪) এছাড়াও কিছু খাবার আছে যা সুগার লেবেল কন্ট্রোল করে। সেগুলি হল, কড়াইশুঁটি, কলা, বার্লি, দুধ, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, চিকেন, মাশরুম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, সয়াবিন, টুনা মাছ, দই।


৫) ঘরোয়া পদ্ধতি ছাড়াও অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। নিয়ম করে জল, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও হালকা ব্যয়ামের মাধ্যমে রেহাই পেতে পারেন লো সুগার থেকে।