নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্ব জুরে করোনা ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। ভারতে এই মারণ রোগ আক্রন্তের সংখ্যা ৩৪৭। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ইটালিতেও ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না মৃতদেহের শেষকৃত্যের জন্য। ভারতে এই মারণ ভাইরাস ঠেকাতে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে প্রচুর পদক্ষেপ তবুও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা মোকাবিলায় ভারতে ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন ৭৫টি এলাকা। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ২৩ মার্চ বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে লকডাউন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই অবস্থায় মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়নামিকস, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসি গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, এই মারণ রোগে ভারতেই আক্রান্ত হতে পারে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ। সংস্থার পরিচালক রামানান লক্ষ্মীনারায়ণ এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষা‍ৎকারে বলেছেন, ‘‘খুব দ্রুত করোনাভাইরাস সংক্রমণের সুনামি বয়ে যেতে পারে ভারতে। দেশটিতে ৩০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের অবস্থা সঙ্কটজনক হতে পারে।’’


আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ধূমপায়ীরা!


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৭ জন এবং তাঁদের মধ্যে মৃত ৭ জন। ভারতে প্রাণঘাতী ভাইরাস এখনও দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্টেজ-২-তে রয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের আধিকারিকরা। তবে আইসিএমআর-এর দাবি নস্যাৎ করে মার্কিন স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা সিডিডিইপি-র পরিচালক লক্ষ্মীনারায়ণ জানিয়েছেন, ‘২ থেকে ৩ সপ্তাহের আগেই ভারতে করোনাভাইরাস তৃতীয় স্তরে অর্থাৎ স্টেজ-৩ প্রবেশ করে গিয়েছে।’ এই সমীক্ষা থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভবিষ্যতে ভারতের করোনা-পরিস্থিতি আরও ভযঙ্কর হতে চলেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে এক মাত্র হাতিয়ার সাবধানতা ও সচেতনতা।