নিজস্ব প্রতিবেদন: মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং UNAIDS-এর যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার পরিস্থিতির জেরে বিশ্বের অন্তত ৭৩টি দেশে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের জোগানে ব্যাপক হারে টান পড়েছে। আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটির সম্মেলনে সম্প্রতি এই তথ্য সামনে এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার নির্দিষ্ট ওষুধ সে ভাবে বিশ্বের সর্বত্র উপলব্ধ না হওয়ায় বিগত প্রায় ছ’মাস ধরে বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের সাহায্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। করোনার বিরুদ্ধে কার্যকরী এই সমস্ত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের মধ্যে ম্যালেরিয়া বা এইডসের (AIDS) ওষুধের ব্যাপক হারে প্রয়োগ হয়েছে বিশ্বের প্রায় সর্বোত্র। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই টান পড়েছে ওই সমস্ত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপক ঘাটতির ফলে বিশ্বের ২৪টি দেশ এখন চমর সঙ্কটের সম্মুখীন। UNAIDS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওষুধের এই ব্যাপক ঘাটতির ফলে সারা বিশ্বে মোট এইডসে (AIDS) আক্রান্তদের ৩৩ শতাংশের চিকিৎসাই এখন থমকে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: ১,০০০ টাকা কমিয়ে ভারতের বাজারে সবচেয়ে কম দামে Remdesivir আনল Cipla!


ভারতেও এতদিন পর্যন্ত করোনার চিকিৎসায় কম-বেশি ম্যালেরিয়া বা এইডসের (AIDS) ওষুধের প্রয়োগ করা হয়েছে। তাহলে এ দেশেও কি তাহলে খুব শীঘ্রই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের জোগানে টান পড়তে চলেছে? ওষুধের অভাবে এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও কি চমর সঙ্কটের সম্মুখীন হতে চলেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (NACO)-এর ডেপুটি ডিরেক্টরেট জেনারেল ডঃ নরেশ গোয়েল জানান, ভারতকে এমন কোনও সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হবে না। কারণ, এ দেশে আগামী দু’বছরের প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ মজুত রয়েছে। আর এই সমস্ত ওষুধের উৎপাদনও থেমে নেই। ফলে ভারতে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের জোগানে টান পড়ার কোনও সম্ভাবনাই এই মুহূর্তে নেই বলে মত ডঃ গোয়েলের।