ওয়েব ডেস্ক : হঠাত্‍ করে শুরু হয়ে গেল মাইগ্রেনের ব্যথা। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় এগারো শতাংশ মানুষ মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় ভোগেন। কিন্তু এই মাইগ্রেন কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাইগ্রেন কী?


মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোন একপাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনীগুলো আছে, সেগুলো মাথাব্যথার শুরুতে স্ফীত হয়ে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাবে রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম ঘটতে পারে।


কাদের বেশি হয়?


এটি পুরুষদের থেকে মহিলাদের বেশি হয়।


মাইগ্রেনের কারণ


চকোলেট,পনির,কফি খেলে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ে


অনেকক্ষণ টিভি দেখা


দীর্ঘসময় কম্পিউটারে কাজ করা


অনেকক্ষণ মোবাইলে কথা বলা


মানসিক চাপ


দুশ্চিন্তা


কোষ্ঠকাঠিন্য


অতি উজ্জ্বল আলো


লক্ষণ

মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েকঘণ্টা এমনকী কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চোখের পেছনে ব্যথা হতে শুরু করে। শব্দ ও আলো ভাল লাগে না।


মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করে


ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত,আলু ,বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক। সবুজ,হলুদ,কমলা রঙের শাকসবজি মাইগ্রেন আটকায়। ক্যালসিয়াম,ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করে। তিল,আটা,বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে। আদার টুকরো বা রস দিনে দুবার জলে মিশিয়ে খান।


কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন


চা,কফি, সফট ড্রিঙ্কস, চকোলেট,আইসক্রিম,দই,মাখন,টমেটো,টক জাতীয় ফল খাবেন না। আপেল,কলা,চিনাবাদাম খাবেন না। পেঁয়াজও না।


কিছু সাধারণ নিয়ম

কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে হবে। অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা। কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা এড়িয়ে চলা। বেশিক্ষণ কম্পিউটারের মনিটরের সামনে না বসা। মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমানে জল খান। ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে বিশ্রাম নিন।