ওয়েব ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণে নেই ডায়াবেটিস? বাড়ছে কোলেস্টেরল? হাইপারটেনশনে ভুগছেন? আটকাতে চান হার্ট অ্যাটাক? হাতের কাছেই মুশকিল আসান। দিনে এক কাপ কামরাঙার রসেই কেল্লাফতে। কামরাঙার কামাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরীর হয়ে উঠছে রোগের ডিপো। যত সব জটিল রোগ জাঁকিয়ে বসছে শরীরে। ভেজাল, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে শরীরের দফারফা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হতে পারে একটি ফল।


ম্যাজিক ফল কামরাঙা। চিকিত্সকরা বলছেন, ভিটামিন B9 অর্থাত্‍ ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর কামরাঙা। যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ভিটামিন C-এর পরিমাণ আম, আঙুর, আনারসের চেয়ে বেশি। কামরাঙায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, লিচু, ডাবের জলের চেয়েও বেশি।


আরও পড়ুন- এই ভাবেই পুরুষ যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যান্সার


কামরাঙা দিয়ে তৈরি চাটনি, জ্যাম, জেলি দিব্যি লাগে খেতে। ভিটামিন B5 ও ভিটামিন B6 প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কামরাঙায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কম করা এবং হাইপারটেনশন দূর করতে কামরাঙার জুড়ি মেলা ভার। শুধু কামরাঙা ফলই নয়, কামরাঙা গাছের পাতাও খুবই উপকারি।


কামরাঙায় রয়েছে এলাজিক অ্যাসিড, যা খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। সর্দিকাশিতে দারুণ উপকারি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কামরাঙা চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত উজ্জ্বল করে। মুখে ব্রন হওয়া আটকায়।


 


  • কামরাঙা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু নিয়ম মানতে বলছেন চিকিত্সকরা-

  • খালি পেটে কোনওভাবেই খাওয়া চলবে না কামরাঙা।

  • ডায়ারিয়া হলে কামরাঙা খাওয়া চলবে না।কামরাঙা একটি অক্সালেট সমৃদ্ধ ভিটামিন C জাতীয় ফল। সে কারণে যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কামরাঙা খেতে নিষেধ করছেন চিকিত্সকরা।


আরও পড়ুন- হার্ট অ্যাটাকের আগেই আপনাকে ইঙ্গিত দেবে হৃদপিণ্ড


বাড়ির আনাচে-কানাচে গজিয়ে ওঠে কামরাঙা গাছ। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও কম। পুষ্টি জোগায়, নানা রোগও প্রতিরোধ করে। তাই সাধারণ একটি ফলেই হতে পারে মুশকিল আসান।