নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের বহু প্রতীক্ষিত ভোট। বাংলার মসনদে শেষ পর্যন্ত কার ঠাঁই হবে তা নিয়ে টানটান উত্তেজনা। আর এরই মাঝে ফের রমরমিয়ে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা (Coronavirus)। রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। উঠে আসছে বেনিয়মের ছবি। ভোটের উন্মাদনায় হচ্ছে না করোনা টেস্ট (Corona Test)। শুধু তাই নয়, টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: West Bengal Assembly Election 2021: নন্দীগ্রামে ভোট-পরবর্তী হিংসা, একাধিক বাড়িতে 'ভাঙচুর', গ্রেফতার ১৪


করোনা পরীক্ষার নির্ধারিত পরিসংখ্যান থেকে অনেক পিছিয়ে আসল পরীক্ষার সংখ্যা। উদাহরণ হিসেবে নন্দীগ্রামই (Nandigram) ধরা যাক। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। ভোটের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে রাজনীতির পারদ যেমন চড়ছে তেমন করোনা টেস্টেও চূড়ান্ত বেনিয়মের ছবি উঠে আসছে। গত ২৬ মার্চ নন্দীগ্রামে করোনা টেস্ট হওয়ার কথা ৩০০ জনের। কিন্তু তথ্য বলছে সেদিন একজনেরও করোনা পরীক্ষা হয়নি। ২৭ মার্চ ফের ৩০০ জনের টেস্ট হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ১৩২ জনের। এরপর ২৮ থেকে ৩১ মার্চ একই লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও টেস্ট হয়েছে যথাক্রমে ২৪, ২২, ১৩২ ও ২৫৩ জনের। ১ এপ্রিল অর্থাৎ নন্দীগ্রামে ভোটের দিন ৪০০ জনের টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে ১২৭ জনের। ৭ দিনের এই উদাসীনতার ছবি কেবল নন্দীগ্রামের নয়। গোটা বাংলা জুড়েই বেনিয়মের ছবি । 


আরও পড়ুন: সোনার নাকছাবি, হ্যান্ড ব্লেন্ডার, Vaccine নিলেই মিলছে উপহার


এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ক্রিটিক্যাল রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল (Beliaghata ID hospital) কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই হাসপাতালে। হাতে গোনা চিকিৎসককে নিয়েই কোভিড পরিস্তিতি সামলাচ্ছে আইডি। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে মাত্র একজন প্রফেসর।  ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞই নেই। ক্রিটিক্যাল কেয়ারে রয়েছে ১৪টি শয্যা। এই অবস্থায় বিপদ যে একইরকম রয়েছে তা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পরিকাঠামো চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আশ্বাসও মিলেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Corona Second Wave) সামলাতে যে বেশ বেগ পেতে হতে পারে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।