ওয়েব ডেস্ক: শীত পড়তে না পড়তেই হেঁচে, কেশে একসা? ভাবছেন ঠান্ডা লেগেছে? ওষুধ গিলছেন সর্দি-কাশির? ভুল করছেন। আপনার ঘরে লুকিয়ে অ্যালার্জির বীজ। এখনই সতর্ক হোন। নাহলে ঘোর বিপদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শীতের সকাল-বিকেল-সন্ধে-রাত। বাতাসে ধোঁয়াশা। ভোরের কুয়াশা। গায়ে গরমের পোশাক। কিন্তু সকালে কম্বলের নিচ থেকে বেরোতেই উত্পাত শুরু। হেঁচেই চলেছেন তো? একের পর এক। গুনেও শেষ হচ্ছে না। নাক বন্ধ। কাঁচা জল পড়া শুরু। সঙ্গে কাশি। কী ভাবছেন? ঠান্ডা লেগেছে। ওষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। নাহ্, এই সমাধান সাময়িক। কারণ, এই হাঁচি-কাশি অ্যালার্জির। সতর্ক না হলে ঘোর বিপদ। কোথায় লুকিয়ে বিপদ?


আরও পড়ুন, এবার শহরের ফুটপাথের খাবারের 'মার্কশিট'!


চিকিত্সকদের দাবি, আমাদের জীবনযাত্রাতেই লুকিয়ে রয়েছে সেই বিপদ। ঠান্ডা আটকাতে জানলা-দরজা বন্ধ। মশার উত্পাত আটকাতে মশার কয়েল। ঘর শুকনো। মশার কয়েলে ক্ষতিকর রাসায়নিক। এই দুই মিলিয়ে ঘোর বিপদ। নাক বন্ধ। বারবার হাঁচি। চোখ লাল। সারা বছর সর্দি।


আরও পড়ুন- পালং খেয়ে ধরে রাখুন বয়স! জেনে নিন পালং-এর গুণাগুণ


ডিওডোরেন্টেও মারাত্মক বিপদ। এমনটাই দাবি চিকিত্সকদের। উগ্র গন্ধ আনতে ব্যবহার করা হয় একপ্রকার রাসায়নিক। নাকে ঢুকলেই ব্যস।


চাদরে থাকে ইচ মাইট নামক একপ্রকার মাইক্রোস্কপিক পোকা। যা অ্যালার্জির অন্যতম কারণ। ঠান্ডা জলে বিছানার চাদর কাচলে এই পোকা মরে না। ফলে দীর্ঘদিন চাদর না পাল্টালে এবং সপ্তাহে একদিন আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা গরম জলে চাদর ভিজিয়ে রেখে না কাচলে ঘোর বিপদ।


সতর্ক না হলে হাঁপানি অনিবার্য। বাচ্চা হোক বা বুড়ো COPD-তে ভুগতে হবে। ব্লাড প্রেশার বাড়বে। রাতের ঘুম কমে যাবে। কমে যাবে কর্মক্ষমতা। ফুসফুসের দফারফা।



অ্যালার্জি আটকাতে চিকিত্সকদের তিন দাওয়াই। 1) মশা মারার ধূপ ব্যবহার করা চলবে না। 2) ডিওডোরেন্ট যতটা সম্ভব কম মাখতে হবে। 3) বিছানার চাদর সপ্তাহে একদিন গরম জলে ভাল করে কাচতে হবে।