ওয়েব ডেস্ক: গতকাল অর্থাত্‌ ৮মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উদযাপন করা হল। এই বিশেষ দিনে সারা বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন করা হয়। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তের ভয়ানক রোগ। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। কিন্তু কী এই থ্যালাসেমিয়া, কীভাবে হয় এই রোগ কিংবা কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে থ্যালাসেমিয়া হয়েছে, তা অনেকেরই জানা নেই। তাই মারাত্মক এই রোগের হাত থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে জেনে নিন থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে এই ৫টি তথ্য অবশ্যই জেনে নিন-


১) থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের শরীরে হালকা কিংবা মারাত্মক অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। অর্থাত্‌ রক্তের লোহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিনের হার মারাত্মক রকম কমে যায়।


২) থ্যালাসেমিয়ার ফলে আমাদের শরীরে হাড় বিকৃতি, কার্ডিওভাসকুলারের সমস্যা, আয়রন ওভারলোডের মতো সমস্যাও দেখা দেয়।


৩) থ্যালাসেমিয়া প্রধাণত দু-ধরণের হয়। থ্যালাসেমিয়া মাইনর এবং থ্যালাসেমিয়া মেজর। থ্যালাসেমিয়া মাইনরের ক্ষেত্রে রোগীরা কম সমস্যায় ভোগেন। তা সেরেও যায় এবং রোগীরা সুস্থ জীবন-যাপন করতে পারেন। থ্যালাসেমিয়া মেজরের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ গুরুতর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, খুব ছোট বয়স থেকেই শিশুরা রক্তের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এইসব ক্ষেত্রে যেহেতু রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান খুব কম থাকে তাই রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ১৫ থেকে ৩০দিন অন্তর রক্ত পরিবর্তন করতে হয়।


৪) থ্যালাসেমিয়া মাইনরের ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীদের বাইরে থেকে কোনও লক্ষণ বোঝা যায় না। থ্যালাসেমিয়া মেজরের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন, হাড় বিকৃত হয়ে যাওয়া, প্লীহা ও যকৃতের পরিবর্ধন, হৃদরোগের সমস্যা, শরীরের কম বৃদ্ধি, জন্ডিস, অ্যানিমিয়া, বিলম্বিত বয়ঃসন্ধি প্রভৃতি লক্ষণগুলি দেখা যায়।


৫) থ্যালাসেমিয়া সাধারণত বাবা-মায়ের থেকে তাদের সন্তানদের হয়। তাই সন্তান গ্রহণ করার আগে অবশ্যই চিকিত্‌সকের থেকে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। এবং থ্যালাসেমিয়ার ভ্যাকসিনও নেওয়া খুবই দরকার।