নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলায় শারীরিক অবস্থা। শুরু হয় একাধিক জটিলতা। প্রতিটা সমস্যা পিছু আলাদা ওষুধে জটিলতা আরও বাড়ে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন ষাটোর্ধ্বদের দরকার বিশেষ ‘সাপোর্টিভ কেয়ার’। তবে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে প্রবীনদের জন্য বিশেষ পরিষেবার তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। কাজেই সমস্যাটাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এ বার সমাধানের দিশা দেখাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই জেরেন্টোলজি বহির্বিভাগ চালু হয়েছে সেখানে। শুধু বহির্বিভাগই নয়, এ বার পরিষেবা মিলবে আরও বড় পরিসরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেজিক্যাল কলেজের পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়বে সাদা ঝাঁ চকচকে বহুতল। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে হাসপাতালের ভিতরে তৈরি হয়েছে সুপারস্পেশালিটি বিল্ডিং। সেখানেই শুরু হবে জেরেন্টোলজি বিভাগ। পাঁচ তলায় জেরেন্টোলজি বিভাগ ছাড়াও থাকবে একাধিক বিভাগ। শুরুতে ৩০ বেডের একটি বিভাগ থাকবে। এর পর ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে পরিষেবা।


আরও পড়ুন: তেলাপিয়া মাছ বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি, দাবি গবেষণায়!


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, "এখানে বিশেষ ভাবে বয়স্কদের চিকিত্সা হবে। ইতিমধ্যেই বহির্বিভাগ চালু হয়েছে, এ বার সুপারস্পেশালিটি বিভাগ শুরু হবে। সমস্ত কাজই শেষ এখন বিল্ডিং হস্তান্তরের অপেক্ষা। এই মাসেই বিল্ডিং-এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই আগামী মাস থেকে পরিষেবার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।"


কী কী থাকছে সেই সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিং-এ?


মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি, সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, ইউরোসার্জারি, নেফ্রোলজি, ক্রিটিক্যল কেয়ার ইউনিট, জিডিয়াট্রির মেডিসিন, এয়ার্টি সেন্টার, বেশ কিছু নতুন ওটি কম্পপ্লেক্স থাকবে।


একই ছাদের তলায় একাধিক বিভাগ থাকায় ভর্তি থাকা রোগীকে প্রয়োজনে নিউরো বা কার্ডিও-র মতো একাধিক শাখার চিকিৎসকেরা দেখতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে রোগীর মূল চিকিত্সা করবে জেরেন্টলজিস্টই। প্রবীনরা যাঁরা চিকিত্সা করাবেন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রেখে ধারাবাহিক ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


জেরেন্টোলজি বহির্বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন মেডিসিনের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর রাজা ভট্টাচার্য। এ বিষয়ে তিনি জানান "বয়স্কদের আলাদা করে চিকিত্সার প্রয়োজন হয়। এ সময়ে একাধিক অসুখ থাকলেও ওষুধের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন হয়। তাঁদের কথা ভেবেই এই বিশেষ বিভাগ রাখা। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চিকিত্সা হবে। সরকারিভাবে সমস্ত পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে, প্রথমে প্রাথমিক কিছু ব্যবস্থা থাকবে, পরে ধাপে ধাপে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।"