ওয়েব ডেস্ক: এখন আর বারবার সূচ ফোটানো নয়। একটি টিকাতেই পাঁচটি রোগ থেকে আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মারণ ও দূরারোগ্য রোগ থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। তাই শিশুদের টিকাকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু একটি শিশুর শরীরে বারবার সূচ ফোটালে শিশুর যন্ত্রণা তো স্বাভাবিকই। শিশুর যন্ত্রণার কান্নায় মনের কষ্ট তো সবারই হয়। বারবার তাই শিশুদের শরীরে সূচ ফোটানোর দরকার নেই। এখন এসে গিয়েছে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা।


আরও পডুন- জেনে নিন, উপকারি কোনটা, দুধ চা নাকি লিকার চা?


আগে জাতীয় ইমুইনাইজেশন সিডিউলে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি এবং টিটেনাস, এই তিনটি রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে ডিপিটি টিকা দিতে হতো শিশুকে। আলাদা করে দিতে হতো হেপাটাইটিস বি টিকার সব কটি ডোজ।


আরও পড়ুন-চিপস, ফুচকা খাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন


নতুন নিয়ম অনুযায়ী পেন্টাভ্যালেন্ট টিকার তিনটি ডোজ এবং হেপাটাইটিস বি-র জন্ম ডোজ ও ডিপিটির বুস্টার ডোজগুলি দিলেই চলবে। ফলে বারবার শিশুর শরীরে সূচ ফোটানোও অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে।


পেন্টাভ্যালেন্ট টিকায় শিশুকে সুরক্ষিত রাখা যায় ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, টিটেনাস, হিমোফিলিস জাতীয় মেনেনজাইটিস/নিউমোনিয়া এবং হেপাটাইটিস বি থেকে। শিশুর দেড় মাস বয়সে প্রথম টিকা। এরপর এক মাস অন্তর পেন্টাভ্যালেন্টের আরও দুটি টিকা দিতে হবে। সূচের যন্ত্রণা কম, এর সঙ্গেও রয়েছে আরও একটি বিষয়। এই টিকা দিলে শিশুকে সুরক্ষিত রাখা যায় হিমোফিলাস জনিত মেনিনজাইটিস/নিউমোনিয়া থেকে।


আরও পড়ুন- ভুঁড়ি কমাতে হলে এগুলো একদম খাবেন না!


সারা বিশ্বে হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি বি জীবাণু (এইচ আই বি/Hib)  আনুমানিক ৩ লক্ষ ৭০ হাজার , ৫ বছরের চেয়ে কমবয়সী শিশুর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ২০ শতাংশ শিশুই ভারতের। এইচ আই বি (Hib) আক্রান্ত যে সব শিশু বেঁচে যায়, তাদের মধ্যে অনেকেই সারাজীবনের জন্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা বধির হয় অথবা তাদের মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


এইচ আই বি (Hib) টিকা শিশুদের এক তৃতীয়াংশ নিউমোনিয়া এবং ৯০ শতাংশ এইচ আই বি (Hib) জনিত মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করতে সক্ষম। চিকিত্সকদের আশা, পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়ার ফলে সম্পূর্ণ টিকাকরণ থেকে কম শিশুই বাদ পড়বে।