নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর আশঙ্কা, করোনাভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’-এ আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থির সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত-সহ একাধিক দেশ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই মোট করোনা আক্রান্তের নিরিখে ভারতের নাম বিশ্বের দশ নম্বরে উঠে এসেছে। মঙ্গলবারেই গোটা দেশে সাড়ে ছ’হাজারেরও বেশি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয় অধ্যাপক, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব পরিসংখ্যানবিদ ভ্রমর মুখোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ভারতে করোনা আক্রন্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছুঁতে পারে!


ভারতে লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার পর ২০ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত— ছয় দিনের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে এই আশঙ্কা করেছেন অধ্যাপক মুখোপাধ্যায়। ২০ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কোন দিন কত জন কনোরায় আক্রান্ত হয়েছেন দেখে নেওয়া যাক...


২০ মে: ভারতে করোনায় আক্রান্ত হন ৫,৬১১ জন।


২১ মে: করোনায় আক্রান্ত হন ৫,৬০৯ জন।


২২ মে: করোনায় আক্রান্ত হন ৬,০৮৮ জন।


২৩ মে: করোনায় আক্রান্ত হন ৬,৬৫৪ জন।


২৪ মে: করোনায় আক্রান্ত হন ৬,৭৬৭ জন।


২৫ মে: করোনায় আক্রান্ত হন ৬,৯৭৭ জন।


অর্থাৎ, ২০ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত— ছয় দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৭ হাজার ৭০৬ জন। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে অধ্যাপক মুখোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, জুলাইয়ের মধ্যেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে! তিনি তাঁর ৪৩ পাতার একটি রিপোর্টে এ বিষয়টি সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর এই রিপোর্ট ২৫ মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে। এর পরের দিনই অর্থাৎ, ২৬ মে দেশে আরও সাড়ে ছ’ হাজারেরও বেশি (৬,৫৩৫ জন) মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। অর্থাৎ, ২০ মে থেকে ভারতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬,৩২০ জন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে।


আরও পড়ুন: আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে পরিস্থিতি! করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ সম্পর্কে সতর্ক করল WHO


গত সোমবারই WHO-এর পক্ষ থেকে ডঃ মাইক রায়ান জানান, গোটা বিশ্বেই এখন করোনার প্রথম ‘ওয়েভ’ চলছে। এই পর্যায়ে আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের ঘটনা। এই প্রথম পর্যায়ের সংক্রমণের সংখ্যা যখন কমে আসবে তার মাস খানেকের মধ্যেই ভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হবে বিভিন্ন দেশে। ডঃ রায়ান সতর্ক করেন, এই সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে ভেবে নিয়ে কোনও রকম অসাবধানতা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে!