ওয়েব ডেস্ক : জলই জীবন। কম জল খেলে শরীরের ক্ষতি। কিন্তু উল্টোটাও সত্যি। বেশি জল খাওয়াও ভাল নয়। কিডনি, হার্টের ওপর চাপ বাড়বে। রক্তে ঘনত্ব কমবে। কমবে নুনের পরিমাণ। ফুলবে শরীর, মাথা। মাথার যন্ত্রণা থেকে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরীর সুস্থ ও নীরোগ রাখতে জলের বিকল্প নেই। জল খেলে মাথাব্যথা কমে। পেশির এনার্জি বাড়ায়। অস্থিসন্ধি ও কার্টিলেজকে রক্ষা করে। ত্বককে সুন্দর রাখে। ওজন কমায়। শরীরের জলীয় পদার্থের ভারসাম্য ঠিক রাখে। শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গকে সুস্থ রাখে জল। মাথা হোক বা চোখ, দাঁত হোক বা হার্ট, ফুসফুস হোক বা কিডনি, লিভার হোক বা পরিপাকতন্ত্র, রেচনতন্ত্র, খাদ্যনালির ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে জল। কম জল খেলে শরীরের ক্ষতি। কমবেশি সবাই জানেন এ তথ্য। কিন্তু বেশি জল খেলেও বিপদ মারাত্মক।


চিকিত্সকরা বলছেন, বেশি জল খেলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ফলে বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব, অতিরিক্ত প্রস্রাব এবং মাথাব্যথা হতে থাকে। বেশি জল খেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। হার্টের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কিডনির ছাঁকনি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় অতিরিক্ত জল। কোষে অতিরিক্ত জল গেলে শরীরের কোষ ফুলতে থাকে। মাথার কোষও ফুলে যেতে পারে। পরিণাম ব্রেন স্ট্রোক। অতিরিক্ত জল শরীরের পটাসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যার জেরে বুকে ব্যথা শুরু হয়। লিভারের সমস্যা বাড়তে থাকে। পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, চিকিত্সকদের দাবি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল শরীরে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে


কেউ বলেন, দিনে ৮ গ্লাস জল তো কেউ বলেন ২ লিটার জলই যথেষ্ট। কিন্তু প্রত্যেকের শরীরে জলের চাহিদা সমান নয়। শরীরের গড়ন এবং আমরা কে কতটা কাজ করি, কী ধরনের খাবার খাই, তার ওপর নির্ভর করে শরীরে জলের চাহিদা। চিকিত্সকরা বলছেন, যাঁর যত ওজন, তাকে ৩০ দিয়ে ভাগ করলে যে সংখ্যাটা বেরোবে, ঠিক তত লিটার জল দৈনিক পান করতে হবে তাঁকে। রোজ আধঘণ্টার ওয়ার্কআউট করলে আরও ৭০০ মিলিলিটার জল অতিরিক্ত পান করতে হবে। সবজি-ফল বেশি খেলে জল একটু কম খেলে ক্ষতি নেই। কারণ, আমরা যে পরিমাণ জল খাই, তার ২০-২৫ শতাংশ আসে খাবার থেকে। তাই জল কমও নয়, বেশিও নয়। বিপদ এড়াতে জল খেতে হবে মেপে।


আরও পড়ুন, লিকার চা এতকিছু করে! আপনি জানতেন?


হলুদে নাকি কোনও গুণই নেই!