নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার সকাল থেকেই অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির ট্রায়ালের ফলাফলের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। ব্রিটিশ বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘দি ল্যানসেট’ (The Lancet)-এ অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এই টিকা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘দি ল্যানসেট’ (The Lancet)-এ প্রকাশিত এই টিকার প্রথম পর্বের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল অনুযায়ী, এটি শুধুমাত্র করোনা-রোধী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তেই সক্ষম হয়নি, একই সঙ্গে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সহনশীল! অর্থাৎ, এই টিকার প্রয়োগে কোনও রকম বিরূপ প্রভাবেরও ভয় নেই।


জানা গিয়েছে, মোট ১,০৭৭ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির এই পর্বের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। ট্রায়ালের ফলাফল অনুযায়ী, প্রতিষেধকটির প্রয়োগে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে করোনা-রোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি হয়েছে। বলে রাখা ভাল, টি-সেল হল এক ধরণের শ্বেত রক্তকণিকা যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ও তার (ইমিউন সিস্টেম) কার্যকলাপের অন্যতম অঙ্গ। এই টি-সেল শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণকে প্রতিহত করে আমাদের সুস্থতা বজায় রাখে।


এই ট্রায়ালের ফলাফল অনুযায়ী, ৯০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেই করোনা-রোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটি (AZD1222)। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০ কোটি প্রতিষেধক দ্রুত বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে এই প্রতিষেধকটির উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) আর বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)।


আরও পড়ুন: অগাস্টেই মিলবে করোনার টিকা! ট্রায়াল বিতর্ক উড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিল রাশিয়া


অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লন্ডনের বার্কশায়ার রিসার্চ এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড কার্পেন্টার (David Carpenter) জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলতে পারে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19 বা AZD1222)। ফলে শীঘ্রই করোনাকে প্রতিহত করার ‘শক্তিশালী অস্ত্র’ হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় বুক বেঁধেছেন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ।