নিজস্ব প্রতিবেদন: এই মুহূর্তে একশোটিরও বেশি করোনা প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে অন্তত ১২টি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। করোনার চিকিৎসায় তিনটি টিকার আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ বা টিকাগুলির বাজারে আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে এই করোনা প্রতিষেধকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকা! এমনটাই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, “করোনার প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কে কতটা অগ্রসর হয়েছে, সেই পর্যায়ে বিবেচনা করে আমার মনে হয়, সম্ভবত অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকাই শীর্ষস্থানীয়।”


অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকার উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ ও বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। ডঃ স্বামীনাথন জানান, অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিষেধকের পরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে সাফল্যের সঙ্গে এগোচ্ছে মার্কিন সংস্থা মোদার্নার তৈরি আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine)। মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিনের শেষ পর্বের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। সুতরাং, খুব বেশি পিছিয়ে নেই মোদার্নার তৈরি করোনা প্রতিষেধক।


আরও পড়ুন: এবার ব্রাজিলে তৈরি হবে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা! চুক্তি হয়ে গেল অ্যাস্ট্রা জেনিকার সঙ্গে


সম্প্রতি জেনেভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, পরবর্তী বছর শেষের আগেই তৈরি হয়ে যাবে ২০০ কোটি করোনা প্রতিষেধক। গত মাসেই গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ফিজার জানিয়েছিলেন, অক্টোবরের শেষেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে। যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এখনও করোনা লড়াইয়ে কার্যকরী প্রতিষেধক পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।