নিজস্ব প্রতিবেদন: ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। আইসিইউ। যে সমস্ত রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল নয়, তাঁদেরই গুরুত্ব দিয়ে চিকিত্সার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ইউনিট। সেখান থেকে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। আবার অনেকে ফিরতে পারেন না। চলে যান চিরঘুমে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবের সময় সমস্যা হচ্ছে? প্রস্টেট ক্যান্সার নয় তো!


আইসিইউ-তে চিকিত্সা চলাকালীন কাদের মৃত্যু হয়। কারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। সেই নিয়ে সমীক্ষা হয়েছিল। আর তাতেই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


দেখা যাচ্ছে, যাঁদের উচ্চতা কম, আইসিইউ-তে তাঁদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। সেই তুলনায় বেশি উচ্চতার মানুষের আইসিইউ-তে মৃত্যুর শঙ্কা অনেক কম থাকে।


আরও পড়ুন: নিত্য ব্যবহারের হ্যান্ড ওয়াশেই লুকিয়ে মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ!


ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, গড়পড়তা উচ্চতার ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ শতাংশের আইসিইউ-তে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। কিন্তু একেবারে যাঁরা বেঁটে, তাঁদের এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। শতাংশের হিসেবে তার হার ৩০ শতাংশ।


সম্প্রতি ওই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয় ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন নামে একটি জার্নালে। সেখানই এই তথ্যগুলি সামনে এসেছে। ওই সমীক্ষায় আইসিইউ-তে মহিলাদের মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা, তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৪.১ শতাংশ কম উচ্চতার মহিলার আইসিইউ-তে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। যা আগে ছিল ১৭.১ শতাংশ।


আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে ভুগছেন? রক্তে সুগারের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখবে ঢ্যাড়স!


কিন্তু কেন এমন হয়, উঠছে সেই প্রশ্নও। তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, গড়পড়তা উচ্চতার মানুষের জন্যই আইসিইউ-এর যন্ত্রপাতিগুলি তৈরি করা হয়েছে। তাই কম উচ্চতার মানুষের জন্য আইসিইউ-তে চিকিত্সায় সমস্যা হয়। অনেক সময় সিডেটিভের মতো ওষুধের মাত্রা বাড়াতে হয়। তাতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর শঙ্কা বাড়ে।


এছাড়া ব্রিদিং টিউবও কম উচ্চতার ব্যক্তিদের জন্য একটু বেশিই বড় হয়। এর জন্য ভোকাল কর্ডে সমস্যা হয়। তার জেরেও অনেক সময় মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়। তাছাড়া আরও অনেক কারণ আছে বলে ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে।


আরও পড়ুন: ‘জাল’ ওষুধ কিনছেন না তো? জেনে নিন ‘জাল’ ওষুধ চেনার উপায়


এক চিকিত্সকের কথায়, এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে এর জন্য চিকিত্সকদের সচেতন হতে হবে। তাঁরা সাধারণত রোগীর উচ্চতা নিয়ে ভাবেন না। তাই অনেক সময় মৃত্যুর শঙ্কা বেড়ে যায়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিত্সা করা হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।