নিজস্ব প্রতিবেদন : কার্ড-এর উপর লেখা- গেট আউট করোনা। সেই কার্ড গলায় ঝোলালে সত্যিই কি করোনা বিদায় নেয়! এমন কার্ড গলায় ঝোলালে হবেটা কী! কোনও তথ্যই নেই সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু হুজুগের বশে লোকজন সেই অদ্ভুত কার্ড গলায় ঝুলিয়ে পড়ছে। কোনও কার্ডে আবার লেখা- শাট আউট করোনা। এতদিন মেড ইন জাপান কার্ড বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল। এখন এদেশেও এই কার্ড উত্পাদন করছে বেশ কিছু সংস্থা। পাওয়া যাচ্ছে কিছু ওষুধের দোকানে। আর লোকজন ভাল-মন্দ বিচার না করেই সেই কার্ড কিনে গলায় ঝুলিয়ে ফেলছে। এমন কাণ্ডে অবাক চিকিত্সকমহলও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লখনউয়ের অনেক ওষুধের দোকানে এই কার্ড বিক্রি হচ্ছে। রাস্তায় অনেকেই সেই কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ঘুরছেন। জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলছেন, কাউকে তাঁর স্ত্রী সেই কার্ড কিনে দিয়েছে। কাউকে আবার কোনও কাছের বন্ধু উপহার দিয়েছে। কিন্তু এই কার্ডের কার্যকারিতা কী! তা কেউ জানে না। দোকানদাররা বলছেন, রোজ কম করে ৫-৬চি কার্ড বিক্রি হচ্ছে। দোকানদাররাও জানেন না, আসলে এই কার্ডের কার্যকারিতা কী! করোনা তাড়াতে এই কার্ডের ভূমিকা কী! তাঁরা বলছেন, লোকজনের কাছে এই কার্ডের চাহিদা রয়েছে। তাই তাঁরা বিক্রি করছেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, একজনকে দেখে আরো পাঁচজন অকারণেই এই কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ফেলছেন। আসলে ব্যাপারটা স্রেফ হুজুগ।


আরও পড়ুন-  আরও সস্তা হলো Favipiravir! স্বাধীনতা দিবসে বাজারে আনছে হায়দরাবাদের সংস্থা


একজন দোকানদার বলেছেন, এক ধরণের কার্ডে ক্লোরিন ডাই অক্সাইড (clo2) রয়েছে। আরেকটি কার্ড থেকে আবার কর্পূরের গন্ধ ঠিকরে বেরোচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই কার্ড অনেকটা ওডোনিল-এর মতো কাজ করে। এক মাস পর্যন্ত গন্ধ ছড়াতে পারে এমন কার্ডের দাম ১০০-১৫০ টাকা। দুমাস পর্যন্ত চলতে পারে এমন কার্ডের দাম ২০০-২৫০ টাকা। চিকিত্সকদের একাংশ বলছেন, আয়ুশ মন্ত্রনালয়, আইসিএমআর অথবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেউই এমন কোনও কার্ডের কার্যকারিতার কথা বলেনি। তাঁরা মনে করেন, মানুষকে বোকা বানাচ্ছে কিছু সংস্থা। এমন কার্ড কখনওই করোনাভাইরাস মারতে পারে না। তাই এই কার্ড প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।