নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আছড়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় যার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতেও করোনাভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’-এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিদিনই ৮০-৯০ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিল করোনা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক দাবি। সম্প্রতি একদল মার্কিন বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, করোনা সংক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুদের হৃদযন্ত্র! ফলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ওদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট ইক্লিনিক্যাল মেডিসিন জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের গবেষণাপত্র। ওই গবেষণাপত্রে এই গবেষণার অন্যতম সদস্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অ্যালভারো মরেইরা জানান, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে তিন-চার সপ্তাহ পর থেকে ‘মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম’-এর (MIS-C) নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যাগুলিতে শিশুদের ICU-তে রেখেই চিকিৎসা করতে হয়। তাঁরা দেখেছেন, এই সময় শিশুদের মধ্যে ‘মায়োকার্ডাইটিস’-এর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর ফলে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুদের হৃদযন্ত্রের পেশিগুলি। ফলে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।


২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত টেক্সাসে ৬০০-রও বেশি করোনা আক্রান্ত শিশুদের গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে, করোনার কোনও উপসর্গ দেখা না গেলেও হার্টের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যেও। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের মধ্যে হার্টের নানা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। যে কারণে তারা পরবর্তিকালে ফের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছে।


আরও পড়ুন: তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছাড়াই শিশুর শরীরে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে করোনা! দাবি বিজ্ঞনীদের


সম্প্রতি ২৮ অগাস্ট ‘জামা পেডিয়াট্রিক্স’ (JAMA Pediatrics)-এর ডিজিটাল সংস্করণে প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্টে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছাড়াই শিশুর শরীরে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে করোনাভাইরাস! এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনা শিশুদের শরীরে তেমন ক্ষতি করতে না পারলেও তাদের নিঃশব্দে সংক্রমিত করে তুলছে। উপসর্গহীন ওই শিশুদের থেকে অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে সব মিলিয়ে শিশুদের উপর করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নতুন করে ভাবাচ্ছে বিশ্বের অসংখ্য চিকিৎসক, বিজ্ঞানীদের। চিন্তা বাড়াচ্ছে অভিভাবকদেরও।